ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শহীদ শরীফ ওসমান হাদিকে হত্যার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। এর ফলে আসামিদের চিহ্নিত করার আগে তারা সীমান্ত পার হতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় তাদের সহযোগিতা করা দুই ভারতীয়কে স্থানীয় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১১টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে হাদি হত্যা মামলার বর্তমান অগ্রগতি তুলে ধরে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, উপস্থিত ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্য, সিসিটিভি ফুটেজ, ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার দিনই শুটার ফয়সাল করিম মাসুদ, ওরফে দাউদ, ওরফে রাহুল এবং তার সহযোগী মোটরসাইকেল চালক মোহাম্মদ আলমগীর শেখকে শনাক্ত করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জানান, তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন এবং গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জবানবন্দি বিশ্লেষণে দেখা যায়—ফয়সাল ও আলমগীর ঘটনাস্থল থেকে ঢাকা থেকে সিএনজি করে আমিনবাজারে যান। পরে তারা মানিকগঞ্জের কালামপুরে পৌঁছান এবং সেখানে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী একটি প্রাইভেটকারে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পৌঁছান।
তিনি আরও জানান, হালুয়াঘাটে পৌঁছানোর আগে মুনফিলিং স্টেশনে ফিলিপ এবং সঞ্জয় তাদের গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করছিল। ফিলিপ তাদের সীমান্ত পার করে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের জনৈক পুত্তির কাছে পৌঁছে দেন। পুত্তি এরপর তাদের এক ট্যাক্সি ড্রাইভারের স্বামীর কাছে হস্তান্তর করেন। ওই স্বামী তাদের মেঘালয়ের পুরা নামক একটি শহরে পৌঁছে দেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ইনফরমাল চ্যানেলের মাধ্যমে মেঘালয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়—পুত্তি এবং তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশ সন্দেহ করছে আসামিরা অবৈধ পথে সীমান্ত পার হয়েছেন।