Image description
 

বিশ্ববাজারে টানা ঊর্ধ্বগতির পর সোনা ও রুপার দামে সামান্য সংশোধন দেখা গেছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) লেনদেনের শুরুতে সোনার দাম ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৫০০ ডলারের গণ্ডি পেরিয়ে ৪ হাজার ৫২৫ দশমিক ১৮ ডলারে পৌঁছায়। তবে এই রেকর্ড উচ্চতার পর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নিতে শুরু করলে দাম কিছুটা কমে আসে। রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, স্পট মার্কেটে সোনার দাম ০ দশমিক ২ শতাংশ কমে বর্তমানে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৪৭৯ দশমিক ৩৮ ডলারে লেনদেন হচ্ছে।

 

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এটি স্বাভাবিক একটি সংশোধন। কিটকো মেটালসের সিনিয়র বিশ্লেষক জিম উইকফ জানান, রেকর্ড দামের পর স্বল্পমেয়াদি মুনাফা নেওয়ার প্রবণতা থাকাই স্বাভাবিক। তবে তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা দীর্ঘমেয়াদে সোনার চাহিদাকে শক্ত অবস্থানে রাখবে। এ ক্ষেত্রে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুদের হার কমানোর পক্ষে দেওয়া মন্তব্যও বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

একই দিনে রুপার বাজারেও বড় ওঠানামা দেখা গেছে। সর্বকালের সর্বোচ্চ ৭২ দশমিক ৭০ ডলারে পৌঁছানোর পর রুপার দাম কিছুটা কমে আউন্সপ্রতি ৭১ দশমিক ৯৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরে রুপার দাম বেড়েছে প্রায় ১৪৯ শতাংশ, যেখানে সোনার দাম বেড়েছে ৭০ শতাংশেরও বেশি। বিশ্লেষকদের ধারণা, বছরের শেষ দিকে রুপা ৭৫ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে।

 

অন্য মূল্যবান ধাতুর ক্ষেত্রেও অস্থিরতা লক্ষ্য করা গেছে। প্লাটিনাম একসময় ২ হাজার ৩৭৭ ডলারের রেকর্ড গড়লেও পরে তা কমে ২ হাজার ২২০ ডলারে নেমে আসে। প্যালাডিয়ামের দামেও উল্লেখযোগ্য পতন দেখা গেছে।

 

বিশ্ববাজারের এই দোলাচলের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারেও। দেশের বাজারে ২২ ক্যারেট সোনার প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২২ হাজার ৮৩ টাকা। পাশাপাশি ২১ ক্যারেট সোনার দাম ২ লাখ ১১ হাজার ৯৯৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৮১ হাজার ৭২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরি ১ লাখ ৫১ হাজার ৩৯৯ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ববাজারে এই অস্থিরতা অব্যাহত থাকলে দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।