Image description
এক রাতেই বদলি করা হয় ৪৭৫ জনকে

শিক্ষা ক্যাডারের বিভিন্ন পদে রদবদলের যেন এক চাঁদরাত পার হলো গত ১১ ডিসেম্বর। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিলের আগের এই রাতে দেশের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভিন্ন দপ্তর-প্রতিষ্ঠানের ৪৭৫ জন ক্যাডার কর্মকর্তার বদলি-পদায়ন হয়েছে। আর অতীতের সব রেকর্ড ভাঙা এই বদলি প্রক্রিয়ায় বিপুল অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। আলোচিত এই বদলি কারবারে শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের দপ্তর এবং কলেজ শাখার তিন কর্মকর্তার নাম এসেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইতিহাসে এক দিনে এত বিপুলসংখ্যক বদলির নজিরবিহীন এই রাতটিকে এরই মধ্যে অনেকেই ‘বদলির চাঁদরাত’ নামে আখ্যা দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষায় ‘বদলি বাণিজ্য’ দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ থেকে শুরু করে দীপু মনি বা মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল—প্রতিটি আমলেই বদলি বাণিজ্যের বিস্তর অভিযোগ ছিল। বিশেষ করে দীপু মনির মেয়াদকালে এ কারবার ছিল অনেকটাই ‘ওপেন সিক্রেট’। দীপু মনির আলোচিত ভাই ওয়াদুদ টিপুর রাজধানীর কলাবাগানের অফিস থেকে যারা টোকেন আনতে পারত, কেবল তাদেরই বদলি হতো। সে সময় প্রশাসনিক পদে ৫ লাখ থেকে শুরু করে ২০ লাখ, আর ঢাকার বিভিন্ন কলেজে বদলিতে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হতো। তবে এবারের এক রাতের বদলি আগের সেসব অভিযোগকেও যেন হার মানিয়েছে। নির্বাচনী তপশিলের পর বদলি প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবে—এমন অজুহাতে গত ১১ ডিসেম্বর এক রাতেই বদলি করা হয়েছে ৪৭৫ জনকে। শুধু বদলি নয়, একই দিনে অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদে ২৭০৬ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান ৯৯৫ জন, আর সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ১৭১১ জন। ৯৪ জনকে বিভিন্ন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ পদে পদায়ন করা হয়। যাদের মধ্যে রয়েছেন বিগত সরকারের সমর্থক ও বিতর্কিত কর্মকর্তারাও। এই বদলি, পদায়ন ও পদোন্নতির নেপথ্যে বড় একটি সিন্ডিকেট কাজ করেছে বলে জানা গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখার তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ ডিসেম্বর রাতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের কলেজ শাখা থেকে পৃথক ১৬টি আদেশে শিক্ষা ক্যাডারের মোট ৪৭৫ জনকে বদলি করা হয়। এর মধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন কলেজে ৩৮০ জনের বদলি আদেশ হয়। সবচেয়ে লোভনীয় পদ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), বিভিন্ন অঞ্চল, শিক্ষা বোর্ড, এনসিটিবি ও প্রশাসনের বিভিন্ন শাখায় শতাধিক পদে রদবদল করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনিক ও অধ্যক্ষ পদে বদলিতে ছিল সবচেয়ে বেশি অঙ্কের আর্থিক লেনদেন।

দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, বর্তমানে শিক্ষার বদলিতে সবচেয়ে বেশি কলকাঠি নাড়েন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের শিক্ষা বিভাগের সচিবের পিএস রকিবুল হাসান। ইকোনমিক ক্যাডার থেকে পুলে উপসচিব হওয়া এই কর্মকর্তা তার পছন্দের ১৩ জন কর্মকর্তা নিয়ে এই বিভাগে বদলি-পদায়নের একটি ‘বলয়’ তৈরি করেছেন। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন সরকারি কলেজ-২ শাখার উপসচিব তানিয়া ফেরদৌস। তিনি গত দেড় মাসে বদলির সব ফাইল আটকে রেখে ১১ ডিসেম্বর হঠাৎ করে সব ফাইল ছাড়ার তাগিদ দেন এবং সেই সুযোগে পিএস তার ফাইলগুলো অনুমোদন করিয়ে দেন।

সবচেয়ে বেশি কেলেঙ্কারি হয়েছে ‘ঘুষের রাজ্য’খ্যাত পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) ঘিরে। শিক্ষা প্রশাসনে ঘুষ-দুর্নীতির কেন্দ্র হিসেবে সবচেয়ে বেশি নাম আসে এই দপ্তরটির। গত ১ ডিসেম্বর ‘মিনিস্ট্রি অডিটে ঘুষের রেট এক মাসের বেতন’ শিরোনামে কালবেলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে কর্মকর্তাদের ঘুষ নেওয়ার চাঞ্চল্যকর সব তথ্য উঠে আসার পর গঠন করা হয় একটি তদন্ত কমিটি, যা এখনো তদন্তাধীন। ওই প্রতিবেদনে নাম আসা দুই অডিট অফিসারকে ডিআইএ থেকে প্রত্যাহার করে নিজ বিভাগে ফিরিয়ে নিয়েছে অডিট অধিদপ্তর। গত ১১ ডিসেম্বর আরও ৫ জন ক্যাডার কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হলেও সহকারী পরিদর্শক ফজিলাতুন্নেসা মিতুর বদলি আদেশ ২১ ডিসেম্বর বাতিল করে তাকে ডিআইএতেই রাখা হয়েছে। শিক্ষা উপদেষ্টার দপ্তরের এক কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে তার বদলি বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা রয়েছে, এই মিতু সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় নিয়মিত যেতেন এবং টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে তার ফুল দেওয়ার একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে। এর আগে তিনি যেসব দপ্তরে ছিলেন তার প্রতিটি থেকে তাকে সরানো হয় নানান অভিযোগে। সর্বশেষ একটি প্রকল্পে থাকাকালীন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়। একজন উপদেষ্টার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বেড়ানো এই কর্মকর্তাকে ডিআইএতে রাখা নিয়ে চলছে নানান আলোচনা-সমালোচনা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফজিলাতুন্নেসা মিতু কালবেলাকে বলেন, ‘বদলির আদেশ বাতিলের জন্য আমি কোনো আবেদন বা তদবির করিনি। আমাকে সৎ অফিসার হিসেবে চেনে, এজন্য হয়তো অর্ডার বাতিল করেছে।’

একই দপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা নূশরাত হাছনীন। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাওয়া এই কর্মকর্তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের নামে প্রত্যেক শিক্ষক-কর্মকর্তার এক মাসের বেতন নিয়ে আসেন। পটুয়াখালীর একটি প্রতিষ্ঠান থেকে দুবার ঘুষ নিয়েছেন, আর ময়মনসিংহের ভালুকায় ১০টি প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষকদের এক মাসের বেতন ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। সবর্শেষ যশোরের ১০টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে গিয়েও তিনি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের এক মাসের বেতন ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন বলে তথ্য মিলেছে। ডিআইএতে অনেকেই তাকে ‘সায়লেন্ট লেডি’, আবার কেউবা ‘ঘুষের রানি’ নামে চেনেন। এর আগে কবি নজরুল কলেজ এবং রাজবাড়ীর পাংশা কলেজে চাকরিকালে তার আচরণ সন্তোষজনক না হওয়ায় সব কর্তৃপক্ষ এসিআরে বিরূপ মন্তব্য করেছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে নূশরাত কালবেলাকে বলেন, ‘আমার নাম বলে অন্য কেউ হয়তো ঘুষ আনছেন, সেটা আমার জানা নেই। পটুয়াখালীর বিষয়টি সঠিক নয়, আর ভালুকায় আমার নাম ব্যবহার করে কেউ টাকা তুলতে পারেন।’

‘চাঁদরাতের’ বদলিতে ডিআইএ থেকে পাঁচ কর্মকর্তাকে সরিয়ে নতুন পাঁচজনকে সেখানে পদায়ন করা হয়। সেই পদায়নেও মোটা অঙ্কের ঘুষ লেনদেন হয়। ২৬তম বিসিএসের এক কর্মকর্তার মাধ্যমে পদায়ন হয় এ. টি. এম আল ফাত্তাহর, যিনি আওয়ামী লীগ শাসনামলে মাউশির সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ছিলেন। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ। ফাত্তাহর বিরুদ্ধে ওঠা সে সময়ের দুর্নীতির অভিযোগ এখনো তদন্ত করছে দুদক। এসব নিয়ে সমালোচনা শুরু হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ফাত্তাহ যোগদান করেননি। শিক্ষা প্রশাসনের একজন পরিচালকের ভাই ও শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা রাকিবের মাধ্যমে এ পদায়ন হয় বলে জানা গেছে। গোপালগঞ্জের রাকিব আওয়ামী লীগের সময় এই দপ্তরটিতে ৮ বছর কর্মরত ছিলেন। শুধু ফাত্তাহ নন, কিছুদিন আগে সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক পদে পদায়ন হয় এফ এম শাহাবুদ্দীন রুমনের। তার বাড়িও গোপালগঞ্জে। ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজে কর্মরত থাকাকালে তিনি অধ্যক্ষসহ দলবল নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করেন। তার পদায়ন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এই বদলিতে আলোচিত কর্মকর্তা ফিরোজ আলম। ৩০তম বিসিএসের এই কর্মকর্তা বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার নির্বাচনে আওয়ামী লীগপন্থি প্যানেল থেকে নির্বাচন করেন। ‘চাঁদরাত’ খ্যাতি পাওয়া বদলি আদেশে তাকে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ থেকে ফের মাউশিতে বদলি করা হয়েছে। এর আগে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে মাউশির গুরুত্বপূর্ণ সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) পদে বদলি করে বিতর্কের মুখে সে আদেশ বাতিল করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ফিরোজ আলম বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করেছি, এমনটি কেউ প্রমাণ করতে পারলে চাকরি ছেড়ে দেব। আমি ভিন্ন মতাদর্শের লোক হিসেবে আওয়ামী প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নেই।’

ডিআইএতে থাকাকালীন ঘুষ কারবারে আলোচিত ‘প’ আধ্যক্ষরের এক কর্মকর্তা। গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার আগের দিন শিক্ষা ভবনে একটি মিছিলে অংশ নেন তিনি। সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে খুনি আখ্যা দিয়ে স্লোগানও দেন। তিনিসহ আরও ৩১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা প্রশাসন। সর্বশেষ ‘চাঁদরাতের’ বদলিতে তাকে রাজধানীর উত্তরার একটি কলেজে বদলি করা হয়েছে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) আলোচিত উপপরিচালক (অর্থ) হাবিবুর রহমানকে বদলি করা হয়েছে নেত্রকোনায়। দীপু মনি ও নওফেলের মেয়াদকালে ব্যানবেইসে দাপুটে কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন এই হাবিব। তাকে সবাই তখন চিনতেন দীপু মনির ‘ক্যাশিয়ার’ হিসেবে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর তাকে প্রথমে ভোলা, এরপর মুন্সীগঞ্জে বদলি করা হলেও নানা দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষা থেকে অপসারিত সচিব সিদ্দিক জুবায়েরকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়ে চলে আসেন লোভনীয় এ পদে। যদিও তাকে সেখানে রাখতে শিক্ষার একটি সিন্ডিকেট জোর তৎপরতা চালাচ্ছে।

শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একাধিক কলাম লেখেন শহিদুল ইসলাম। তাকে নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে বদলি করা হয়েছে। আর রেজাউল করিম নামে এক কর্মকর্তাকে মাউশি ও নায়েমে একসঙ্গে পদায়ন করা হয়।

সবচেয়ে বেশি বদলি বাণিজ্য হয়েছে সচিববিহীন এক মাসে। মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির পর এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত বিলম্ব হওয়া নিয়ে নানা আলোচনা ও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের তখনকার সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরকে প্রত্যাহার করা হয় গত ২২ জুন। এর পর ১৮ আগস্ট দেশের প্রথম নারী শিক্ষা সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান রেহানা পারভীনকে। মাঝখানে শিক্ষা উপদেষ্টার পিএস, একজন যুগ্ম সচিব, দুজন উপসচিবকে দেদার বদলি করান। এসব বদলিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক নেতারাও শিক্ষা ক্যাডারে পেয়েছেন ভালো পদ। তাদের মধ্যে একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ২৪তম বিসিএসের ড. এনামুল হক। তিনি ‘ঘুষের রাজ্য’ ডিআইএতে ছিলেন ১৩ বছরেরও বেশি সময়। আর এই সময়কালে এনামুল শতকোটি টাকার মালিক বনে যান বলে চাউর হয়। অনেকেই তাকে চেনেন ‘শতকোটির’ এনামুল নামে। সচিববিহীন সময়ে মন্ত্রণালয়ে সক্রিয় চার সিন্ডিকেট মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তাকে রাজধানীর ঢাকা উদ্যান কলেজে পদায়নের ব্যবস্থা করে। তার নেতৃত্বে শিক্ষা ক্যাডারে থাকা আওয়ামী লীগপন্থি কর্মকর্তারা ফের সংগঠিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে এনামুল হকের মোবাইল ফোন নম্বরে কল করে তা বন্ধ পাওয়া যায়। শুধু এনামুল নন, সচিববিহীন এক মাসে রাজধানীর হাজারীবাগ ও মোহাম্মদপুরের কয়েকটি কলেজে আওয়ামী লীগপন্থি অন্তত ৪৫ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়।

এসব অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব রেহেনা পারভীনের সাক্ষাৎ চেয়েও পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও কোনো সাড়া মেলেনি। পরে হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে বার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর আসেনি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজ শাখার যুগ্ম সচিব (কলেজ-১ অধিশাখা) খোদেজা খাতুন কালবেলাকে বলেন, ‘নানা ব্যস্ততার কারণে উপদেষ্টা ও সচিব বদলির ফাইলে স্বাক্ষর করতে পারেননি, এজন্য এক দিনে এত অর্ডার (বদলি আদেশ) হয়েছে। শিক্ষায় ২২ হাজারের বেশি কর্মকর্তা আছেন, তাদের নিয়মিত বদলি করা রুটিন কাজ। কিন্তু এই বদলি ঘিরে যদি কোনো বাণিজ্য হয়, সেটা খুঁজে বের করুন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’