Image description
 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম মন্তব্য করেছেন, ' তিনি দলীয় রাজনীতির বাইরে গিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলেন। আমরা হাদিকে অনুসরণ করার জন্য সবসময় স্মরণ করবো।'

 

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট  ভবনে বিকাল ৪টায় 'বুদ্ধিবৃত্তিক, সাংস্কৃতিক ও ইনসাফের বাংলাদেশ বিনির্মাণের লড়াইয়ে পথপ্রদর্শক একজন হাদি' - শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি আরও বলেন, 'হাদির মৃত্যুর আগে অনেকেই তাকে চিনতেন না; কিন্তু তার আকস্মিক মৃত্যু পরবর্তী সময়ে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছি। জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে অনেকেই বিভিন্ন ভূমিকা পালন করেছেন, তবে হাদির অবদান ছিল অপরিসীম।'

 

এসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, 'হাদি ৩২ বছর বয়সে মানুষের মনে যে জায়গা করে নিয়েছে ৮২ বছর বয়সে অনেক মানুষ সেটা করতে পারে না। তিনি যে ভালোবাসা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল সেই ভালোবাসা নিয়ে দাঁড়ানোর মত বর্তমানে বাংলাদেশে কোন নেতৃত্ব নাই। হাদি যা বলেছিল তা দেশের লক্ষ্য -কোটি মানুষের মনের ভাষার সাথে মিলে গিয়েছিল'। 

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, 'অল্প কিছু দিনের ভিতরেই হাদি মানুষের মনের ভিতরে ঢুকে পড়েছিল। সে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। ইনসাফ মানে হচ্ছে শত্রুর অধিকারের সুরক্ষা দেওয়া। কিন্তু হাদীর অনুসারীদের মধ্যে ইনসাফ আছে বলে আমার মনে হয় না। দখল করা , প্রভুত্ব দেখানো এবং ভোগ হাদি এরকম চায় নি এবং চায়নি বলেই দেশের মানুষের মনে জায়গা করে নিতে পেরেছে। '

রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন,জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক  মো. আখতার হোসেন মজুমদার,  ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আমিরুল ইসলাম কনক,ড.  অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাইহানা শামস ইসলাম।