যশোরের বাদুরের মাংস খেয়ে একই পরিবারের ৬ জন সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে পরিবারের দাবি, বাদুরের মাংস খেয়ে নয়, কেউ খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে দিয়েছে। বাড়ির টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট হয়ে গেছে।
শনিবার রাতে মণিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রোববার তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অসুস্থরা হলেন- ওই গ্রামের শুভাস দাসের স্ত্রী সখি দাস, তার ছেলে ইন্দ্রজিৎ দাস, প্রসেনজিৎ দাস ও হৃদয় দাস, দিলিপ দাসের ছেলে অজয় দাস এবং মৃত তারাপদ দাসের ছেলে রবিন দাস।
অসুস্থ সখি দাস জানান, শনিবার দুপুরে তিনি বাপের বাড়ি থেকে প্রায় এক কেজি বাদুরের মাংস নিয়ে আসেন। পরে ওই মাংস রান্না করে রাতে পরিবারের সবাই ভাতের সঙ্গে খান। রোববার সকালে পরিবারের কেউ ঘুম থেকে না ওঠায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। খোঁজ নিতে গিয়ে তারা দেখেন, পরিবারের সদস্যরা সবাই অসুস্থ অবস্থায় ঘরের ভেতরে পড়ে আছেন। পরে প্রতিবেশীরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ওই দিন বিকালে তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন।
সখি দাসের দাবি, তারা বাদুরের মাংস খেয়ে অসুস্থ হননি। হয়ত খাবারের সঙ্গে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ক্ষতিকর দ্রব্য মিশিয়ে থাকতে পারে। কারণ তাদের ঘর থেকে নগদ টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট হয়ে গেছে।