লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জে বিএনপি নেতার বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাথমিক অনুসন্ধানে মব বা দুর্বৃত্তের হামলার প্রমাণ পাওয়া যায়নি যায়নি বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়াও একই বিষয় দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ওয়াহিদ পারভেজ দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আগুনের ঘটনায় ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হওয়া কতিপয় দুর্বৃত্ত সংঘবদ্ধ হয়ে মব সৃষ্টি করে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে তথ্যটি সঠিক নয়।
তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাস্থলে কোনো দুর্বৃত্তকারী কিংবা কোনো মবের অস্তিত্বের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাও আগুনের উৎস বা আগুন লাগা বা লাগানোর কারণ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে কোনো তথ্য দিতে পারেন নাই। তবে আমরা গঠনাটি তদন্ত করছি আসলে আগুনের উৎস কোথায় এবং কীভাবে লেগেছি।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।
বেলালের মা প্রত্যক্ষদর্শী হাজেরা বেগমের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, হাজেরা অন্য একটি ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। তখন হঠাৎ করে কিছু একটা ফেটে যাওয়ার শব্দ শুনে বের হয়ে দেখেন বেলালের থাকার ঘর আগুন লেগে পুড়ছে। পরে উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় তার নাতনি স্মৃতি আক্তার ও বিথি আক্তারকে উদ্ধার করতে পারলেও ছোট নাতনি আয়েশা আক্তারকে উদ্ধার করতে পারেনি। তবে সেখানে তিনি কোনো দুর্বৃত্তকারী কিংবা মব সৃষ্টিকারী কারো উপস্থিতি বা পালিয়ে যেতে দেখেননি। বেলালের ভাতিজা প্রত্যক্ষদর্শী মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুও একই বক্তব্য দেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গভীর রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেলালের ঘরে দুর্বৃত্তদের আগুনে তার মেয়ে আয়েশা আক্তার (৮) মারা যায়। এছাড়া বেলালসহ তার দুই মেয়ে স্মৃতি আক্তার (১৭) ও বিথি আক্তার (১৪) দগ্ধ হয়। বেলাল সদর হাসপাতালে এবং তার দুই মেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।