সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদির মরদেহ বিমানবন্দরে আসার কথা রয়েছে। এ কারণে পুরো বিমানবন্দর জুড়েই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের বাইরে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মোতায়েন থাকবে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগিব সামাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে এভসেকের পাশাপাশি বিমান বাহিনীর কুইক রেসপঞ্জ ফোর্স মোতায়েন থাকবে। বাইরে থাকবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেতরে কাউকে আসতে দেওয়া হবেনা। কেউ আসার চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করা হবে। নিরাপত্তা ব্যাঘাত হয় এমন কোনও কর্মকাণ্ড না করারও অনুরোধ করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিমানবন্দরে জনসমাগম ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। বিমানবন্দরের প্রধান গেট, সিভিল এভিয়েশন গেট এই দুই স্থানকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই দুই স্থানে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আর্মড পুলিশ মোতায়েন থাকবে। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট ছাড়া কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবেনা।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অপারেশন কমান্ডার পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া কুইক রেসপঞ্জ টিম (সিআরটি), ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হচ্ছে। নিরাপত্তার কোনও ঘাটতি রাখা হবেনা। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা টিমও কাজ করবে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয় নগরের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় ওসমান হাদিকে গুলি করে মোটরসাইকেলে আসা দুই সন্ত্রাসী। রিকশায় থাকা হাদি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর তাকে নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। অবস্থা গুরুতর দেখে সেখান থেকে হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যায় সরকার। আর সেখানেই বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে (এসজিএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে হত্যার বিচারের দাবিতে সারা দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয় প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে।