Image description
 

জুলাই বিপ্লবী শরিফ ওসমান হাদিকে যারা খুন করেছে, বাংলাদেশকে তাদের হাতে তুলে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। 

 

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে চারটায় সংগঠনটির ফেসবুক পেইজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এই আহ্বান জানানো হয়েছে।

পোস্টে আরও যা লিখেছে ইনকিলাব মঞ্চ

‘ভাঙচুর আর আগুন সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে তারা মূলত বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। তারা এই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে বিপণ্ন করতে চায়। ৩২ আর ৩৬ এক জিনিস না- এইটা আপনাদের বুঝতে হবে।’ 

‘আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারলে কার কার লাভ সেটা একবার ভেবে দেখুন!’  

‘এই মুহূর্তে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি অভয়ারণ্য, নিয়ন্ত্রণহীন রাষ্ট্র হিসেবে পোট্রে করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যার কোনো সুফল নাই, উলটো দীর্ঘমেয়াদী দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হতে যাচ্ছি আমরা।’  

‘ওসমান হাদি তার এক্টিভিজম, তার রাজনীতির পুরোটা সময় জুড়ে আপনাদেরকে সার্বভৌমত্বের শত্রু চিনিয়েছেন, সেইসঙ্গে তাকে মোকাবিলা করার পথও বাতলে দিয়েছেন।’  

‘আমাদের সামনে দীর্ঘ লড়াই, এটাকে কোনোভাবেই দুই-একদিনে হাসিল করা সম্ভব না। বাংলাদেশকে স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করুন। সহিংসতা পরিহার করুন।’

 

 

এর ঘণ্টাখানেক বাদে অন্য একটি পোস্টে ইনকিলাব মঞ্চ লিখেছে, ‘খুনি যদি জাহান্নামেও থাকে, জাহান্নাম থেকে এনে আমাদের সামনে হাজির করতে হবে। আমরা বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সহিংসতা পরিহার পূর্বক সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তুলব, ইনশাআল্লাহ।’

গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর ২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে রিকশাযোগে যাওয়ার সময় হাদিকে মোটরসাইকেলে আসা দুই ব্যক্তি অনুসরণ করে। এক পর্যায়ে তাকে বহনকারী অটোরিকশার কাছে গিয়ে তার মাথার কাছে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে। পরে তারা পালিয়ে যায়।‎

‎গুরুতর অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে একটি অপারেশন শেষে তাকে নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। 

তবে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হাদিকে নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসাপাতালে। সেখানে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় শুরু হয় বিক্ষোভ। হাদির মৃত্যুকে ঘিরে এখনো উত্তপ্ত গোটা দেশ।