ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী শরীফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি শহরের খাসমহল এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে মৃত্যুর খবর শুনে তার আত্মীয়-স্বজনরা ছুটে আসেন বাসায়। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তার পরিবারের কেউ রাতে কারো সঙ্গে দেখা বা কথা বলেননি।
হাদির মৃত্যুর ঘটনায় জাড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন তার প্রতিবেশী ও সহপাঠীরা। হাদির স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। জুলাই বিপ্লবের পরে হাদির মতো একজন বীরযোদ্ধাকে কেন নিরাপত্তা দেওয়া হলো না, এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওসমান হাদির বাসায় বর্তমানে তার বোন মাছুমা সুলতানা বিন হাদি ও ভগ্নিপতি আমির হোসেন আছেন।
উল্লেখ্য, আততায়ীর বুলেটে বিদ্ধ হয়ে টানা সাত দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের সামনের সারির অকুতোভয় যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে হাদির মৃত্যু হয়।
ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে শহীদ ওসমান হাদিকে নিয়ে রওয়ানা করবে। ঢাকায় অবতরণ করার সম্ভাব্য সময় সন্ধ্যা ৬টা ০৫ মিনিট।
এতে বলা হয়, শহীদ ওসমান হাদির প্রথম জানাজা সিঙ্গাপুরের The Angullia Mosque এ (দ্য আঙ্গুলিয়া মসজিদ) সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া বাংলাদেশে শহীদ ওসমান হাদির জানাযা, শনিবার বাদ জোহর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।