ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই যোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে একে জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দল।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান এবং যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম ও অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যু জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদি কেবল একজন সংগঠকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন জুলাই বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশের এক স্বপ্নদ্রষ্টা। ফ্যাসিবাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথের লড়াই থেকে শুরু করে জনমত গঠনে তার সাহসী ভূমিকা দেশবাসীর হৃদয়ে চিরজাগরূক থাকবে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে তার মতো একজন ত্যাগী ও দেশপ্রেমিক তরুণের বিদায় জাতির জন্য এক অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি করল।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ওসমান হাদির অকালপ্রয়াণে দেশ এক নির্ভীক, আপোসহীন ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক কণ্ঠস্বর হারাল। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে সংঘটিত এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড একটি কুচক্রী মহলের গভীর ষড়যন্ত্র ও সহিংস রাজনীতির নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, শহীদ শরীফ উসমান হাদির রক্ত বৃথা যাবে না। তার আদর্শ, সাহস ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং সকল সন্ত্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রেরণা জোগাবে।
তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের পক্ষ থেকে আমরা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং মহান আল্লাহর দরবারে তার উচ্চ মাকাম প্রার্থনা করছি। একইসঙ্গে আমরা তার শোকসন্তপ্ত পরিবার, সহযোদ্ধা এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। আল্লাহ যেন তাদের এই কঠিন শোক ধৈর্য সহকারে সহ্য করার তৌফিক দান করেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে সন্ত্রাসীরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে অস্ত্রোপচার করা হয় এবং পরবর্তীতে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। তবে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।