Image description

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। তবে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া বড় ইস্যু বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি।

বুধবার বিকালে বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহী সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত এ সমন্বয় সভা শেষে সন্ধ্যার পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ড. আনম বজলুর রশীদ ও পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাজাহান।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানে বিশেষ কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। তবে ডিআইজি বলেছেন, গত বছর আগস্টে বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া একটি গুরুতর ইস্যু হয়ে আছে।

সভা শেষে বিভাগীয় কমিশনার বজলুর রশীদ সাংবাদিকদের আরও বলেন, নির্বাচনের জন্য আমাদের তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ এখানে নেই। ইতোপূর্বে অনেক নির্বাচন আমরা সুষ্ঠু ও ভালোভাবে করেছি। এখানে সমন্বয়টা যেন জোরদার হয়, সেই বিষয়ে আমরা সবার সঙ্গে কথা বলেছি। ওই ধরনের তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ রাজশাহী বিভাগে নেই। টুকটাক থাকলে সেটা আমরা সহজেই সমাধান করতে পারব। আমরা কাজ করছি।

তিনি বলেন, এটি হবে একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন। এই ঐতিহাসিক নির্বাচনের সন্ধিক্ষণে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। মাঠপর্যায়ে যারা নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা সবাই এ সভায় ছিলেন। আমরা সবার পরামর্শ শুনেছি। আমরা চাই একটি শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে। এর কোনো ব্যত্যয় আমরা হতে দেব না।

পরে থানা-ফাঁড়ি থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, অস্ত্র যেগুলো এখনও উদ্ধার করতে পারিনি, সেগুলো উদ্ধারের জন্য আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের যে অভিযান হয়েছে, সেখানে বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছি। কিন্তু যেগুলো খোয়া গেছে বা হারানো গেছে; সেগুলো উদ্ধার করা সত্যিকার অর্থে একটা চ্যালেঞ্জিং ইস্যু হয়ে আছে। লুট হওয়া এসব অস্ত্র নির্বাচনে ব্যবহার হওয়ার শঙ্কা তো থাকেই।

তিনি বলেন, সেই জায়গাগুলোকে আমরা চিহ্নিত করেছি। এজন্য আমরা জেলার পুলিশ সুপারদের নির্দেশনা দিয়েছি অভিযান করতে। তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন সব নির্দেশনা কার্যকরে। সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা অভিযানটা পরিচালনা করব। এছাড়া যারা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে বলে পুলিশের কাছে প্রতীয়মান হবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এর আগে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় সেনাকর্মকর্তা, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি এবং র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভাগের ৮ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।