Image description

চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিশ্বমানে উন্নীত হয়েছে। মিলেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও। আইএসপিএস কোড বাস্তবায়নে জিরো অবজারভেশন পাওয়া গেছে।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিষয়টি জানান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল মো. জহিরুল ইসলাম, পিএসসি। তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য বন্দরের ন্যায় চট্টগ্রাম বন্দরে আইএসপিএস কোড বাস্তবায়ন কার্যক্রম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে।

এরই ধারাবাহিকতায় ইউএস কোস্টগার্ড ইন্টারন্যাশনাল পোর্ট সিকিউরিটি (আইপিএস) ইতোপূর্বে দলের দুই দিনব্যাপী অফিসিয়াল পরিদর্শন সফলভাবে সম্পন্ন হয়। পরিদর্শন শেষে ইউএস কোস্টগার্ড আইপিএস কর্তৃক প্রেরিত অফিসিয়াল পরিদর্শন রিপোর্টে চট্টগ্রাম বন্দরের বিরুদ্ধে কোনো পর্যবেক্ষণ না থাকায় এটি চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ও গৌরবময় অর্জন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

পরিদর্শনকালে ইউএস কোস্টগার্ড আইপিএস প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আইএসপিএস কোড বাস্তবায়নের অবস্থা, নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার কার্যকারিতা এবং সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো পর্যালোচনা করেন। পরিদর্শনের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বন্দর এলাকায় গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পেশাদার জনবল, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মানদণ্ড যথাযথভাবে অনুসরণের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে উল্লেখ করা হয়।

অফিশিয়াল পরিদর্শন রিপোর্টে জিরো অবজারভেশন অর্জন চট্টগ্রাম বন্দরে আইএসপিএস কোডের সফল ও কার্যকর বাস্তবায়নের একটি সুস্পষ্ট প্রমাণ। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার মান ও সক্ষমতা আরও সুদৃঢ়ভাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমের ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইএসপিএস কোড বাস্তবায়নের মাধ্যমে বন্দর ও জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম, সিসিটিভি নজরদারি, অ্যাক্সেস কন্ট্রোল, প্রশিক্ষিত নিরাপত্তা কর্মী এবং আইএসপিএস মনিটরিং সেলের কার্যকর ভূমিকা এই অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

ওমর ফারুক জানিয়েছেন, আইএসপিএস (ইন্টারন্যাশনাল শিপ অ্যান্ড পোর্ট ফ্যাসিলিটি সিকিউরিটি) কোড হলো আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) প্রণীত একটি বৈশ্বিক নিরাপত্তা কাঠামো। যার মূল উদ্দেশ্য হলো জাহাজ ও বন্দর স্থাপনাসমূহে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ, চোরাচালান এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ঝুঁকি প্রতিরোধ করা। এ কোড বাস্তবায়নের মাধ্যমে বন্দর ও জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নির্বিঘ্ন রাখতে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

ওমর ফারুক আরও বলেন, দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরে আইএসপিএস কোডের কার্যকর বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বন্দরের গ্রহণযোগ্যতা ও আস্থা সুদৃঢ় করে।