Image description

দেশে এখন নির্বাচনী হাওয়া বইছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে গণভোট। একই সময়ে এই দুই নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ও ভোট গণনা কীভাবে হবে, কিংবা ফলই বা কীভাবে প্রকাশ করা হবে?

গত ১১ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করার পরই গণভোটের প্রশ্ন, ভোটদানের সময়, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ, ভোট গ্রহণ পদ্ধতি নির্ধারণ, ফল প্রকাশ, ফল একত্রীকরণ ও গেজেট প্রকাশ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করে নির্বাচন কমিশন।

তাতে দেখা যায় গণভোটের জন্য গোলাপি রঙের ব্যালট থাকবে। আর সংসদ নির্বাচনের জন্য আগের মতোই থাকবে সাদা রঙের ব্যালট। সংসদ ও গণভোটে (হ্যাঁ-না) ভোট দিতে হবে সিল দিয়ে। দুটি ব্যালট পেপারই জমা দিতে হবে একই বাক্সে। তবে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে হবে টিক/ক্রস চিহ্ন দিয়ে।

গণভোটের বিষয়

জনগণের মতামত গ্রহণের জন্য গণভোটের ব্যালট পেপারে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ অনুযায়ী সংবিধান সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ চারটি প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এসব প্রশ্নের বিপরীতে ভোটারদের কাছে কেবল একটি ঘরে ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ ভোট চাওয়া হয়েছে।

ব্যালট পেপার কেমন

‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি আছে? : (হ্যাঁ/না)’

ভোট গ্রহণ যেভাবে

সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন যাদের রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে, তারাই গণভোটেরও দায়িত্ব পালন করবেন। একই ভাবে প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসাররা থাকবেন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্বে।

ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা একই সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

যেভাবে হবে গণনা

ভোট গ্রহণ শেষে প্রিসাইডিং অফিসার ভোটকেন্দ্রে বা পোস্টাল ভোটের গণনা কেন্দ্রে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে নিয়োজিত এজেন্টদের উপস্থিতিতে প্রত্যেকটি ব্যালট বাক্স খুলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট ও গণভোটের ব্যালট আলাদা করবেন।

এরপর সংসদ নির্বাচনের ব্যালটগুলো প্রার্থীভিত্তিক এবং গণভোটের হ্যাঁ-সূচক ও না-সূচক ব্যালট পেপার আলাদা করে গণনা করা হবে।

এবার ভোটার প্রায় পৌনে ১৩ কোটি। ভোটার সংখ্যার সমান সংখ্যক ব্যালট পেপার সংসদ ও গণভোটের জন্য মুদ্রণ করা হবে। অর্থাৎ দুই নির্বাচনের জন্য ভোটার সংখ্যার দ্বিগুণ ব্যালট ছাপতে হবে।

দুই ভোট একসঙ্গে হওয়ায় এবার ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে নয় ঘণ্টা করা হয়েছে। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত।

ঢাকাটাইমস