ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনাটি কয়েক মাস আগে থেকেই পরিকল্পিত ছিল বলে ধারণা করছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা। গুলির ঘটনার পেছনে সুপরিকল্পিত প্রস্তুতির তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, হামলার আগের রাতে ফয়সাল ও আলমগীরের জন্য সাভারের আশুলিয়ার একটি রিসোর্টে থাকার এবং বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে তারা রাত কাটান এবং তাদের মনোরঞ্জনের জন্য দুই নারী সঙ্গীও উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাতে হামলাকারীরা ওই রিসোর্টে অবস্থান করেন। পরদিন শুক্রবার সকাল প্রায় ৮টার দিকে তারা রিসোর্ট ত্যাগ করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। পরে জুমার নামাজের পর শরিফ ওসমান হাদিকে অনুসরণ করে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান।
ডিবি সূত্র জানিয়েছে, সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি করা হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল শুটার ফয়সাল করিমের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবীকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ফয়সালের স্ত্রী সামিয়া, তার শ্যালক শিপু ও রিসোর্টে থাকা বান্ধবী মারিয়া। তাদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এ আদেশ দেন। এর আগে হাদিকে গুলি করার সময় ব্যবহার করা মোটরসাইকেলের মালিক আবদুল হান্নানকে রবিবার তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
এর আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুপুর ২টার দিকে তাকে বহনকারী গালফস্ট্রিম জি-১০০ সিরিজের একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। গতকাল বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুরের সেলেতার বিমানবন্দরে অবতরণ করে। হাদিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গত রবিবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের হওয়া মামলা তদন্তের জন্য ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।