Image description

ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ায় মাত্র দুদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। দাম আরও কমেবে বলে দাবি করছেন বন্দরের আমদানিকারকরা।

এদিকে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমায় খুশি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সরেজমিন হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা গেছে,বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি আগের তুলনায় বেড়েছে। আগে বন্দর দিয়ে দুই থেকে চার ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও এখন তা বেড়ে ৮ থেকে ১০ ট্রাক করে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। আজও বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তাই সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। বন্দরে দুদিন আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১শ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বলেন,দেশীয় পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় তিনমাস পর আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। দেশীয় পেঁয়াজের দাম বেশি ও সরবরাহ কম থাকার কারণে হিলি স্থলবন্দরে এসেছি পেঁয়াজ কিনতে। এখান থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্রেতাদের চাহিদামত পেঁয়াজ সরবরাহ করে আসছিলাম। কিন্তু বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি কম থাকায় দাম বাড়তি ছিল যার কারণে মোকামে ভারতীয় পেঁয়াজের তেমন একটা চাহিদা না থাকায় সীমিত পরিমানে কিনে পাঠাচ্ছিলাম।

তিনি বলেন, বর্তমানে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি আগের তুলনায় বেড়েছে যার কারণে দাম কমে দিকে যাচ্ছে। দুদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা করে কমেছে। দুদিন আগে যে পেয়াজ ১শ টাকায় কিনে পাঠিয়েছিলাম সেই পেঁয়াজ এখন ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে আমাদের টাকা যেমন কম লাগছে তেমনি মোকামে মানুষ কম দামে খেতে পারছে। এছাড়া দাম কমায় মোকামে আগের তুলনায় পেঁয়াজের চাহিদা বাড়ছে।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজের আমদানিকারক মোবারক হোসেন বলেন, দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেশে হঠাৎ করেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠে পেঁয়াজের দাম। এমন পরিস্থিতিতে গত ৭ ডিসেম্বর রবিবার থেকে হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। কিন্তু সীমিত পরিমানে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এতে করে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এক থেকে দুই ট্রাক করে সর্বোচ্চ ৪ ট্রাক পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি হতো। তাতেও দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমছিল না। এ অবস্থায় সরকার সম্প্রতি পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দ্বিগুন করেছে। বর্তমানে প্রতিদিন ১শ জন আমদানিকারকে ৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, রবিবার একদিনেই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ ট্রাকে ২৯৯ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। এতে করে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে সামনের দিনে পেঁয়াজের আমদানি বাড়লে দাম আরও কমবে।

হিলি স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা এম আর জামান বাধন বলেন, পেঁয়াজ যেহেতু কাঁচামাল তাই বন্দরে প্রবেশ মাত্র পরীক্ষণ শুল্কায়ন ও শুল্ক আহরন শেষে দ্রুত খালাস করে দেওয়া হচ্ছে। যাতে আমদানিকারকরা দ্রুত বাজারজাত করতে পারেন। যে কারণে বাজারে একটা প্রভাব পড়ে।