Image description

টানা ১৮ দিন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। জানা যায়, প্রতিদিনই অন্তত ৪-৫টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট দিচ্ছে মেডিকেল বোর্ড। মঙ্গলবারও খালেদা জিয়ার ডায়ালাইসিস হয়েছে। এদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে তা কয়েক দফা পেছানো হয়েছে। ফলে আপাতত এভারকেয়ারের সিসিইউতেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তাকে। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি ও এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রার উপযোগী হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে পরবর্তী সময়ে লন্ডন নেওয়া হতে পারে। যদিও দল থেকে বলা হচ্ছে, বিদেশে নেওয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চিকিৎসকদের অনুমতি পেলে অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় এসে খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাবে।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় বোর্ডের একজন চিকিৎসক বলেন, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত। ভালো কিংবা খারাপ বলা যাচ্ছে না। বয়সজনিত কারণে সেরে উঠতে সময় লাগবে। তার মাল্টিপল ডিজিস (বহুমুখী জটিলতা) থাকায় একটি রোগ থেকে সেরে উঠলে আরেকটি দেখা দেয়। লিভার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আপাতত কিডনির ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ সীমায় রয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, সিসিইউতে নেওয়ার পর থেকে প্রতিদিন নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। প্যারামিটারগুলো স্বাভাবিক থাকলেও একেবারে ঝুঁকিমুক্তও হচ্ছেন না। সিসিইউতে অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিনই রিপোর্ট দেখে কিছু ওষুধ বন্ধ করেন, আবার চালু করেন। কিছু ওষুধের মাত্রা কমান কিংবা প্রয়োজনে বাড়িয়ে দেন।

দেশে ফেরার পর বোর্ডে সশরীরে অংশ নেন খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান।

৮০ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হৃদযন্ত্র, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপরসন। পরে অবস্থার অবনতি হলে গত ২৭ নভেম্বর তাকে নেওয়া হয় সিসিইউতে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেখানেই আছেন তিনি। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত দেশি-বিদেশি দুই ডজনের মতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন বৈঠক করে চিকিৎসায় পরিবর্তন আনছেন। এদিকে দিনের বেশির ভাগ সময় হাসপাতালে শাশুড়ির শয্যাপাশে কাটান ডা. জোবাইদা রহমান। বাসায় থাকার সময়ও টেলিফোনে শাশুড়ির স্বাস্থ্যের খোঁজখবর রাখছেন। চিকিৎসার বিষয়গুলো তিনি সমন্বয় করেন।