Image description

সরকারি চাকরিজীবীদের পেশাগত তথ্য গোপন করে পাসপোর্ট নেওয়ার প্রবণতা ঠেকাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এবার সরকারি কর্মচারীদের তথ্যভান্ডার আইবাস (ইন্টেগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম) ই-পাসপোর্ট সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) সব সরকারি চাকরিজীবীর পেশা হালনাগাদ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বহিরাগমন অনুবিভাগ) ফয়সল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।

 
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি পাসপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজনীয়তা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে মন্ত্রণালয়। পাসপোর্ট সেবা সহজীকরণের অংশ হিসেবে সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছিল।

তবে নতুন এ ব্যবস্থায় গুরুতর চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে বলে জানায় ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ডিআইপি)।

বৈঠকে উপস্থিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া পাসপোর্ট প্রদানের নিয়ম কার্যকর হওয়ার পর দেখা গেছে—কিছু সরকারি চাকরিজীবী আবেদনপত্রে পেশা গোপন করেছেন।

 
ই-পাসপোর্ট সিস্টেমেও তথ্য যাচাই সম্ভব হয়নি, কারণ আবেদনকারীর এনআইডিতে তাদের হালনাগাদ পেশাগত তথ্য নেই।

তিনি বলেন, "দেশে ১৬ বছর বয়সে এনআইডির জন্য আবেদন করা যায়, যদিও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি হয় ১৮ বছর বয়সে। ওই বয়সে যেই পেশা উল্লেখ করা হয়, পরে চাকরিতে যোগ দিলেও, নতুন তথ্য উল্লেখ করা হয় না, আগেরটাই থেকে যায়। ফলে এনআইডির তথ্য দেখে বোঝা যায় না কে সরকারি চাকরিজীবী, আর কে নন।

 
"

এই প্রেক্ষাপটে ডিআইপি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে জানান—পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া পাসপোর্ট দিলে কিছু ঝুঁকি থাকে, বিশেষ করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাইলে পেশা লুকিয়ে সাধারণ পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারেন। এনআইডিতে তথ্য হালনাগাদ না থাকায় পেশা শনাক্ত করা সম্ভব হয় না।