সাংবাদিকতাসহ অন্যকোনো পেশায় চাকরি করতে পারবেন না এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২৫’ প্রকাশিত নীতিমালায় বলা হয়, এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক-কর্মচারী একই সাথে একাধিক কোনো পদে/ চাকরিতে বা আর্থিক লাভজনক কোনো পদে নিয়োজিত থাকতে পারবেন না। এটি তদন্তে প্রমাণিত হলে সরকার তার এমপিও বাতিলসহ দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
আর্থিক লাভজনক পদ বলতে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত যে কোন ধরণের বেতন-ভাতা-সম্মানী এবং বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান, সংস্থায়, বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিকতা ও আইন পেশায় কর্মের বিনিময়ে বেতন-ভাতা-সম্মানীকে বুঝাবে বলে নীতিমালায় বলা হয়।
এ ছাড়াও নীতিমালায় উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের ‘জ্যেষ্ঠ প্রভাষক’ পদ বিলুপ্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ বিভিন্ন পদের নিয়োগ যোগ্যতায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদের দুই বছরের অভিজ্ঞতাসহ ১৩ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা নিয়ে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে দু-তিন বছরের অভিজ্ঞতাসহ ১৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা নিয়ে শিক্ষকরা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগে সুযোগ পাবেন।
নতুন নীতিমালায় বলা হয়, বিনা অনুমতিতে ৬০ দিন বা তদূর্ধ্ব সময় অনুপস্থিত থাকলে ওই শিক্ষক এমপিওভুক্তির জন্য বিবেচিত হবেন না। এমন ঘটলে ৬০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ওই পদটি শূন্য ঘোষণা করে বিধি মোতাবেক নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
নতুন জনবল কাঠামো অনুসারে, কোনো বেসরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ খোলার জন্য প্রতি বিভাগে ন্যূনতম ৩৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগে নতুন শাখা খুলতে হলে ন্যূনতম ২৫ জন ছাত্রছাত্রী থাকতে হবে। মফস্বলে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা খোলার জন্য ন্যূনতম ৩০ ও বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ন্যূনতম ২০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে।