Image description
 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের খাদ্যপণ্য প্রস্তুত ও বিপণনকারী একটি প্রতিষ্ঠানের ১৩ হাজার ৯৫০ কেজি পাম তেল জব্দের পর আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আদর্শ গ্রুপ অব কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সাদিকুল ইসলাম।

যদিও পুলিশ পাম তেল আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, অন্য একটি মামলায় চোরাই পণ্য হিসেবে জব্দ করে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে তেলগুলো।

সংবাদ সম্মেলনে সাদিকুল ইসলাম দাবি করেন, আদর্শ গ্রুপ অব কোম্পানির প্রতিষ্ঠান আদর্শ ব্রাদার্স ভাণ্ডারের নামে কেনা ১৩ হাজার ৯৫০ কেজি (৭৫ ড্রাম) পাম তেল গত ২১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে নিজস্ব ট্রাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আনা হচ্ছিল। পথে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানাপুলিশ পাম তেলসহ ট্রাকটি আটক করে।

বিষয়টি নিয়ে রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগ করার পর মালামাল ক্রয়ের মেমোসহ অন্যান্য কাগজপত্রের ফটোকপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু ওসি তেল ও ট্রাক ফেরত না দিয়ে নানান টালবাহানা শুরু করেন। পরবর্তীতে জানানো হয় তেল ও ট্রাক আদালতের মাধ্যমে ফেরত নিতে হবে।

সাদিকুল ইসলাম বলেন, ‘২৫ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের আদালতে গিয়ে জানতে পারি ট্রাকটি অন্য একটি মামলায় জব্দ করে পুলিশ। তবে ট্রাকে থাকা পাম তেল জব্দ তালিকায় নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরইমধ্যে অবৈধভাবে ট্রাক ও ১৩ হাজার ৯৫০ কেজি পাম তেল জব্দ করে আত্মসাতের অভিযোগে রায়গঞ্জ থানার ওসি কে এম মাসুদ রানা ও এসআই ফিরোজসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

রায়গঞ্জ থানার ওসি (সদ্য বদলি) কে এম মাসুদ রানা বলেন, ‘ওই ট্রাকে যে তেল পাওয়া গেছে, তা একটি চোরাই গোডাউন থেকে লোড করা হয়েছে। পুলিশ তেলসহ ট্রাকটি জব্দ করে আদালতে জমা দেয়। এখন বিষয়টি আদালতের মাধ্যমেই নিষ্পত্তি হবে।’

একই দাবি করে পুলিশের রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম খান বলেন, ‘পাম তেল আত্মসাতের অভিযোগ অবান্তর। তেল আত্মসাতের কোন সুযোগ নেই। অন্য একটি ছিনতাই মামলায় তেলগুলো জব্দ দেখিয়ে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।’

আমাদের সময়/