নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, ‘এবারের নির্বাচনে দুটি ব্যালট থাকছে, এ জন্য সময় ব্যবস্থাপনা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা মক ভোটিং করে দেখেছি, ভালো ফ্লো রাখতে একজন ভোটারের পরে আরেকজন ঢুকতে গড়ে দেড় মিনিট সময় লাগে। আর ভেতরে একজন ভোটার গড়ে ৩ মিনিট ৫২ সেকেন্ড নিয়েছেন।’
আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ উপলক্ষে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান তিনি। গত শনিবার আধা বেলা মক ভোটিংয়ের আয়োজন করেছিল ইসি।
গণভোটের প্রশ্ন পড়তেও ভোটাররা সময় নিয়েছেন জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘যিনি না পড়ে সিল দিচ্ছেন, তিনি ২ মিনিটে শেষ করছেন, আবার যিনি পড়ছেন, তিনি ৭-৮ মিনিটও সময় নিয়ে ভোট দিয়েছেন।’
সার্বিক বিবেচনায় নিয়ে এবার ভোট গ্রহণের সময় বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হতে পারে জানিয়ে সানাউল্লাহ বলেন, ‘৭ ডিসেম্বর কমিশন সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।’
এ নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘আগামীতে কেমন দেশ ও গণতান্ত্রিক পথযাত্রা দেখতে চাই, তা আগামী নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে। গত তিনটি নির্বাচনে দেশের নির্বাচন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটাকে আমরা পুনরায় মেরামতের চেষ্টা করছি। তবে এই কাজ এককভাবে কমিশনের পক্ষে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। জাতির স্বার্থে ভালো নির্বাচন হতেই হবে। সে ক্ষেত্রে সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব সচেতনভাবে পালন করতে হবে।’
সবাই শতাব্দীর ভালো নির্বাচন চাই উল্লেখ করে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘সামনে যে নির্বাচন ও গণভোটের যে আয়োজন তা বিশাল কর্মযজ্ঞ। গণভোটের যে চারটা প্রশ্নের ওপর শুধু একটা উত্তর— সেটা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদের আলোচনায় বলা হচ্ছিল, রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় বিশটা ম্যানিফেস্টো থাকে। তার সবগুলোতে সবাই একমত হয় না, তবে সার্বিকভাবে দেখে। গণভোটের ব্যাপারটাও তেমনি। পুরো প্যাকেজ দেখে আপনারা ভোট দেবেন।’
নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি), ইটিআই ও ব্যালট প্রকল্পের যৌথ আয়োজনে চার ব্যাচে মোট ২২০ জন সাংবাদিক এই প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন।
ইটিআই মহাপরিচালক মেহাম্মদ হাসানুজ্জামানের প্রশিক্ষণে সভাপতিত্ব করেন।