Image description

প্লট দুর্নীতি মামলায় আদালতের বিচার ও দণ্ডাদেশ নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক যে প্রশ্ন ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তার জবাব দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে জনসংযোগ দফতরের মাধ্যমে দেওয়া জবাবে দুদকের চেয়ারম্যান জানান, দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে টিউলিপকে সাজা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি অভিযোগই টিউলিপ সিদ্দিক, তার খালা শেখ হাসিনা, মা শেখ রেহানা এবং অন্যান্য ভাই-বোনদের নামে গুলশান ও অন্যান্য স্থানে প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত।

দুদকের তথ্যমতে, মামলাগুলো প্রধানত বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জমির প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে। এসব প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল টিউলিপ সিদ্দিকের খালা ও অপসারিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মা শেখ রেহানা, এবং অন্যান্য নিকটাত্মীয়দের নামে। এক মামলায় দেখা যায়, টিউলিপ সিদ্দিক নিজেও তার খালার শাসনামলে একটি প্লট বরাদ্দ পান।

মামলায় ৩২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন, যাদের মধ্যে কয়েকজন আদালতে বলেন যে টিউলিপ সিদ্দিক তার খালার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে ব্যবহার করে এসব বরাদ্দ আদায় করেছেন।

দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক নিজেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর প্রভাব খাটিয়ে ঢাকার গুলশান-২ এলাকায় একটি প্লট অবৈধভাবে বরাদ্দ নেন। এ ধরনের কার্যকলাপ দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের অধীনে অপরাধে সহায়তা করার শামিল। এছাড়া, টিউলিপ সিদ্দিক অফশোর কোম্পানির সহায়তায় কেনা লন্ডনের পাঁচটি সম্পত্তির সঙ্গে যুক্ত থাকার তথ্যও উল্লেখ করেন চেয়ারম্যান।

অন্যদিকে ​টিউলিপ সিদ্দিক দাবি জানিয়েছেন তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাননি, তা সম্পূর্ণ অসত্য বলে দাবি করেছে দুদক। দুদকের চেয়ারম্যানের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তাকে বিচার প্রক্রিয়ায় উপস্থিত থাকার এবং নিজের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি উপস্থিত হতে বা আইনি প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকার করেন।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সামগ্রিকভাবে, এসব তথ্য বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দুর্নীতিতে সহায়তা ও প্ররোচনায় টিউলিপ সিদ্দিকের ধারাবাহিক সম্পৃক্ততা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে। এই তথ্য ও পরিস্থিতির আলোকে, তিনি নির্দোষ এই দাবির কোনো ভিত্তি নেই।’