Image description
 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন-২০২৫ স্থগিত করা নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভূমিকম্পের নাম করে পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন পেছানোর জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন অনেক প্রার্থী।

 

তারা বলছেন, আগামী ২২ ডিসেম্বরই জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে, তা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবে।

এদিকে প্রচারণার সময় কমিয়ে এনে অথবা প্রচারণা চলাকালীন ডোপটেস্ট নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান। এর ফলে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে জকসু আয়োজন করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি অভিযোগ করেন, সোমবারের মতবিনিময় সভায় অনেক প্রার্থী নির্বাচন পিছিয়ে দিতে বলেছিল, এখন তারা বিষয়টি অস্বীকার করছে। আমরা প্রার্থীদের সঙ্গে বসে নির্বাচনের বিষয় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ডোপটেস্ট স্থগিত রাখতে হয়েছে বলেছে জানান।

এর আগে ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতিতে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ক্লাশ পরীক্ষা বন্ধ ও ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইন ক্লাশের ঘোষণা দেয় প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্বনির্ধারিত ২৭ ও ৩০ নভেম্বর প্রার্থীদের ডোপটেস্ট গ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

এরপরই নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ ও অবিশ্বাস দানা বাধতে থাকে। কমিশনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন শিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ও শাখা শিবির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ও জিএস প্রার্থী ফয়সাল মুরাদসহ অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী।

এর আগে সোমবার কমিশনের সঙ্গে প্রার্থীদের মতবিনিময় সভায় নির্বাচন পেছানোর দাবি জানান ছাত্রদল সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল ও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তারা এর পক্ষে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিত করানোর প্রতিবন্ধকতার যুক্তি উপস্থাপন করে। অপরদিকে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোর দাবি জানায় ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ বাম সমর্থিত ‘মওলা ভাসানী ব্রিগেড’ জাতীয় ছাত্রশক্তি সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেলসহ অন্যান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

তবে বুধবার রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় ছাত্রদল সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের প্রার্থী মো. রাকিব কোনো কাল বিলম্ব না করে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাত, আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মো. রিয়াজুল ইসলাম। এ সময় তিনি বিদেশি ওহিতে জকসু পেছানোর ষড়যন্ত্র হলে শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। এছাড়া তিনি ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বারবার আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন।

এরপর এদিন বিকাল ৪টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদল সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মো. রাকিব বলেন, পরিকল্পিতভাবে ক্যাম্পাসের সম্প্রীতির পরিবেশকে বিনষ্ট ও ঘৃণা ছড়ানোর হচ্ছে। এ সময় তিনি পূর্ব ঘোষিত ২২ ডিসেম্বরেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।

এছাড়া পূর্ব ঘোষিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে জাতীয় ছাত্রশক্তি সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ বাম সমর্থিত ‘মওলানা ভাসানী ব্রিগেড’ প্যানেলসহ অন্যান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।