ইউনিভার্সিটি অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি বাংলাদেশ (ইউএফটিবি)-এর ফুটবল টুর্নামেন্টের ফলাফল এবং তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মারধরে এক নারী শিক্ষার্থীও অংশ নেন বলে জানা গেছে। হামলার শিকার সাইদি হাসান পরশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইবার সিকিউরিটি বিভাগের ২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী।
বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল টেকনোলজি বিভাগের ২১-২২ ও ২২-২৩ সেশনের কয়েকজনসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী হামলায় অংশ নেয়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, মোহাম্মদ এহসান, মুহাইমিন আলম সৈকত, ইসমাম ইফতি, ওলিউর রহমান ওলি, সাজিদ আমিন, মাসতুরা জাহান মারিয়া ও ওমর ফারুক মীম।
পরশকে দলবদ্ধভাবে মারধরের পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সাইবার সিকিউরিটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা চান। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাকিব হোসেনসহ কয়েকজন শিক্ষক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফুটবল ম্যাচে সাইবার সিকিউরিটি বিভাগ জয়লাভ করার পর শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল করছিল। এসময় পরশ ও তার এক সহপাঠীকে ডেকে নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। গুরুতর আহত পরশকে পরে কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পরশ বলেন, আমি অটোতে যাচ্ছিলাম। এ সময় মীম অটো থামায়। পরে মারিয়া অটো থেকে আমাকে টেনে নামিয়ে মারধর শুরু করেন। পরে অন্যরাও মারা শুরু করেন। আমি এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাকিব হোসেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘পুলিশ আসার আগেই আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছি। এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একাডিমকে