Image description

এসএমপির বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান উদ্দিন হত্যা মামলার ৫ আসামির যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। কেবল কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি বহিষ্কৃত এএসআই আশেক আলীর যুক্তিতর্কের জন্য আইনজীবী আদালতে একদিন সময় চাইলে মঞ্জুর করা হয়। 

বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে মহানগর দায়রা জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালতে যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। 

রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বদরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ফের যুক্তিতর্ক শুনানির দিনে বহিষ্কৃত এএসআই আশেক আলীর যুক্তিতর্কের পর রায়ের তারিখ নির্ধারণ হতে পারে। 

আদালত সূত্র জানায়, হত্যা মামলার প্রধান আসামি বন্দরবাজার ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া চলতি বছরের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে জামিনের পর তিনি ১০ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি পান। পরে জামিন স্থগিত হলেও তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ না করে পলাতক রয়েছেন। 

২০২০ সালের ১০ অক্টোবর রাতে রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। পরদিন সকাল সাড়ে ৭টায় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলা করেন। 

তদন্তে নির্যাতনের সত্যতা মিললে এসআই আকবরসহ সাত পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রত্যাহার করা হয়। পরবর্তীতে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। 

প্রায় এক মাস পর ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর কানাইঘাট সীমান্ত থেকে প্রধান অভিযুক্ত আকবরকে আটক করা হয়। 

২০২১ সালের ৫ মে পিবিআই ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। তন্মধ্যে এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, এসআই হাসান উদ্দিন ও আবদুল আল নোমান। 

একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বিচার শুরু হয়। মোট ৬৯ সাক্ষীর মধ্যে ৬৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক শেষে বহুল আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ হতে পারে।