Image description

এমফিল ভর্তিতে কারচুপির অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী । তিনি বলেন, তার এমফিল ভর্তির পুরো প্রক্রিয়া ছিল নিয়মসঙ্গত ও বৈধ, এবং প্রশাসন চাইলে তার ভর্তি ফর্মসহ নথি প্রকাশ করে দেখাতে পারে কোন বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে।

বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ দাবি করেন তিনি। 

এর আগে বুধবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদকের ছাত্রত্ব ও ডাকসুর জিএস পদ বাতিল করা হয়।

রাব্বানী তার ফেসবুক পোস্টে জানান, ‘২০১৯ সালের ডাকসুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আমিসহ সমসাময়িক সকলের এমফিলে ভর্তি প্রক্রিয়া যথাযথ ও সম্পূর্ণ বৈধ ছিলো। আমার এমফিল ভর্তি ফর্মসহ সুনির্দিষ্ট ভাবে ঠিক কি কারণে ভর্তি বৈধ নয় এবং তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন আইন লঙ্ঘিত হয়েছে, প্রশাসন পারলে সেটা প্রকাশ করুক।’

ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় ৫ম হয়েছি জানিয়ে রাব্বানী বলেন, ‘রাজউক কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি (০৪-০৬) তে ডাবল জিপিএ- ৫ ও ভর্তি পরীক্ষায় ৫ম স্থান অধিকার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে যথাযথ সময়ে এলএলবি (২য় শ্রেণী) ও এমএলএম (১ম শ্রেণী) সম্পন্নের পর এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আমার কারচুপির আশ্রয় নেয়ার কোন যৌক্তিক কারণ নেই।’

তিনি বলেন, ‘ক্রিমিনোলজি ডিপার্টমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা, তৎকালীন চেয়ারম্যান ও বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. জিয়া স্যারের তত্ত্বাবধানে সকল ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করেই আমি ভর্তি হয়েছি। এমফিলের থিসিস সুপারভাইজার হিসেবে টপিক এপ্রোভাল দিয়ে স্যার নিজেই ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। এমফিলে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্রাইটেরিয়া নির্ধারণের সম্পূর্ণ এখতিয়ার সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট চেয়ারম্যান ও তত্বাবধায়ক শিক্ষকের। ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ত্রুটি থাকলে, ডিপার্টমেন্টের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে সেই জবাব তো একমাত্র জিয়া স্যার ভালো দিতে পারতেন। স্যারের অবর্তমানে সেই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করার এখতিয়ার অন্য কেউ রাখেন বলে মনে করি না।’

 

রাব্বানী অভিযোগ করে বলেন, ‘মূলত, ৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতি ও প্রফেসর ড. জিয়া স্যারের ইন্তেকালের দরুণ, অন্যায় সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করার কেউ নেই ভেবে, সুযোগ বুঝে ভর্তিতে কারচুপির ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে অবৈধ জামাতি প্রশাসন এই নোংরামোটা করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন অবৈধ ক্ষমতা পেয়ে যা ইচ্ছে করুক। সময় আসলে এই অপকর্মে জড়িত অবৈধ সরকারের অবৈধ নিয়োগকৃত প্রশাসনের সকলেই ক্ষমতা অপব্যবহার ও অন্যায় সিদ্ধান্তের জন্য আইনানুগ প্রক্রিয়াতেই পূর্ণ জবাবদিহিতার আওতায় আসবে।’