জুলাই বিপ্লবের পর পতিত ফ্যাসিবাদী শাসকের পলায়নের মধ্য দিয়ে যখন রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের অন্ধকার অধ্যায় ভাঙতে শুরু করে, ঠিক তখনই 'আয়নাঘর' নামে পরিচিত ভয়াবহ বন্দিশালা থেকে বেরিয়ে আসতে থাকেন বছরের পর বছর ধরে গুমের শিকার হওয়া নির্যাতিতরা। কেউ ছিলেন রাজনৈতিক নেতা, কেউ আইনজীবী, কেউ সাবেক সামরিক কর্মকর্তা। বহুজন ফিরতে পারলেও অসংখ্য মানুষের কোনো খোঁজ এখন পর্যন্ত মেলেনি। যারা ফিরেছেন, তারা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন নির্যাতনের ক্ষত; আর যারা ফেরেননি, তাদের পরিবার আজও অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার এক নতুন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। গুম ফেরত ব্যক্তি এবং গুমের শিকারদের পরিবারের সদস্যরা সরাসরি ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। কেউ নিজের বন্দি জীবনের যন্ত্রণা নিয়ে, কেউ হারানো প্রিয়জনের ছায়া বুকে নিয়ে এখন নির্বাচনি মাঠে।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াল ও ভয়ংকর অধ্যায়গুলোর একটি হলো 'গুম'। বিরোধী দল-মতের রাজনীতিকদের ওপর নেমে এসেছিল নির্যাতন-নিপীড়নের নির্মম স্টিম রোলার। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের শাসনামলে এই গুমের সংস্কৃতি যেন রাষ্ট্রযন্ত্রের অংশে পরিণত হয়েছিল।
গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির তথ্যমতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৯শ অভিযোগ জমা পড়েছে। কমিশন মনে করে, ওই শাসনামলে গুমের সংখ্যা তিন হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ এই গুমকাণ্ড পরিচালনা করে