Image description

ইসলাম ও আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তকারী বাউল শিল্পী আবুল সরকারের বিচার দাবিতে সারা দেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছে।  এই শিল্পীকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনের পর দলটির বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হতো।

অনুষ্ঠানগুলোতে শেখ মুজিব ও তার কন্যা গণহত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্বৈরশাসক হাসিনাকে নিয়ে গানও গাইতেন। সম্প্রতি এরকম একটি গান সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। মুজিব, হাসিনা ও নৌকার গুণকীর্তন করে গাওয়া আবুল সরকারের এই গানটি ২০২৪ সালের মার্চে ‘গানের পাখি বিডি’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়। 

গান প্রকাশের সময়কাল অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে, ২০০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ডামি নির্বাচনের পর আবুল সরকার গানটি গেয়েছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানের ব্যানারে যে লেখা দেখা যাচ্ছে তাতে স্পষ্ট, অনুষ্ঠানটি টাঙ্গাইলে হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনে জয় লাভ করা আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান আহমেদ শুভ। 

ওই অনুষ্ঠানেই আবুল সরকারের কণ্ঠে ভেসে উঠে-

‘ইতিহাসের রাখাল রাজা বঙ্গবন্ধুর নায়

আয় বাঙালি জলদি কইরা আয় 

তোরা আয়, আয়রে আমার শেখ হাসিনার নায়’।

উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় এক সঙ্গীত অনুষ্ঠানে বাউল শিল্পী আবুল সরকার ইসলাম ও আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তি করেন। এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সর্বত্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিভিন্ন মুসল্লি ও ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে তার দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের নজরে আসার পর ডিবি পুলিশ বিশেষ অভিযানে গত বৃহস্পতিবার ভোরে মাদারীপুরে তাকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

এদিকে আবুল সরকার গ্রেফতার হওয়ার পর পুরুষ বাউল শিল্পীদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বাউল শিল্পী হাসিনা সরকার। তিনি বলেছেন, নারী বাউল শিল্পীরা বিছানায় না গেলে তাদের কোনো প্রোগ্রামে ডাকা হয় না। এমনকি তিনি নিজেও এরকম পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন বলে জানান।তবে যাদের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তাদের নাম উল্লেখ করেননি। 

হাসিনা সরকার বলেন, বাউলদেরকে বলতাম- আমার তো প্রোগ্রাম নাই, আমার দিকে একটু খেয়াল রাইখেন। তখন তারা বলেন, ‘যদি খেয়াল রাখতে হয় তাহলে কথা শুনতে হবে। যখন ডাকি তখন আসতে হবে’। আমি বলি- ‘আসলে কী হবে’? তখন তারা বলেন- ‘এইটা কি ভেঙে (খুলে) বলতে হবে’।আমি তখন বলেছি- ‘মাফও চাই, দোয়াও চাই।ওই ধরনের প্রোগ্রাম আমার দরকার নাই। আমার ইজ্জত বিক্রি করে আমার প্রোগ্রোম নিতে হবে না। এটাকে বাউল গান বলে না। 

তাকেও পুরুষ বাউল শিল্পীরা কুপ্রস্তাব দিতেন দাবি করে এই নারী বাউল বলেন, তারা বেডে (বিছানা) নেয়, আর গান গাওয়ার সুযোগ দেয়। আমি বাউল শিল্পী হয়ে বলছি- এখন বাউল জগতের এরকম পরিস্থিতি হয়ে গেছে। আমাকে যদি কেউ না ডাকে, বায়না না দেয়, আমার কেউ খোঁজখবর না নেয়, তাও আমার কিছু যায় আসে না।আমাকেও বাউলরা এরকম (কুপ্রস্তাব) প্রস্তাব দিয়েছেন, তারা বলেছেন- ‘আমাদের কথা শুনবি, তোকে বায়না দেব’।