ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে পর্যবেক্ষকদের তালিকা দাখিল করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় নির্বাচন ভবনে দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দিনব্যাপী সংলাপ শুরু হয়। উদ্বোধনী বক্তব্যে কমিশনার সানাউল্লাহ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বচ্ছ নির্বাচন হবে ২০২৬ সালে, আর এর ব্যত্যয় ঘটাতে চাইলে কাউকে ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক এবং ভোটার উপস্থিতিও বেশি থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সংলাপের উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের ইসির সহযোগী হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভালো নির্বাচন আয়োজন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, তবে এটি একার পক্ষে সম্ভব নয়। সুষ্ঠু, সুন্দর ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে সবার সমন্বিত সহযোগিতা প্রয়োজন।
সিইসি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে সংস্থাগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো নির্বাচন কমিশনের সহযোগী। আমরা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পর্যবেক্ষকদের চোখ দিয়েই পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া দেখতে চাই।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, মাঠপর্যায়ে নিয়োগপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকদের যেন কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বা প্রচারণায় যুক্ত না হতে দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ইসির নিজস্ব সুপারভাইজরি ও অফিসিয়াল মেকানিজম থাকবে, তবে পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা হবে নির্বাচনকে আরও স্বচ্ছভাবে মূল্যায়ন করার অন্যতম উপায়। ‘আপনাদের চোখ যদি পক্ষপাতদুষ্ট হয়, তবে আমাদের নির্বাচন দেখাটাও সঠিক হবে না,’ মন্তব্য করেন সিইসি।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, তার ‘সিসি ক্যামেরা’ হলেন পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকরা। তিনি জানান, এবার পর্যবেক্ষকদের বয়সসীমা নামিয়ে ২১ বছর করা হয়েছে এবং নতুন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
প্রায় ৪০টি পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের উদ্দেশে সিইসি আরও বলেন, অতীত নিয়ে তিনি ঘাঁটাঘাঁটি করতে চান না। অতীতের ভুল-ভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়েই কমিশন সামনে এগিয়ে যেতে চায়। তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে, ইসির লক্ষ্য জাতিকে একটি সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া।