ঢাকা মেট্রোরেল যাত্রীদের সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) থেকে চালু হতে যাচ্ছে অনলাইন রিচার্জ সেবা। এর ফলে যাত্রীদের আর স্টেশনের লাইনে না দাঁড়িয়ে ঘরে বসেই র্যাপিড পাস বা এমআরটি পাস রিচার্জ করার সুযোগ তৈরি হলো।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁও মেট্রোস্টেশনে এই সেবার উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ে নিয়োজিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন।
যেভাবে কাজ করবে নতুন সেবা
ডিটিসিএ (ঢাকা পরিবহণ সমন্বয় কর্তৃপক্ষ)-এর নতুন এই ব্যবস্থায় যাত্রীরা ঘরে বসেই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেটসহ যেকোনো অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন।
রিচার্জের জন্য যাত্রীকে ডিটিসিএ-এর ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপে নিবন্ধন করে লগইন করতে হবে। এরপর র্যাপিড পাস বা এমআরটি পাস নির্বাচন করে পেমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে।
অনলাইনে পেমেন্ট সফল হলেও স্টেশনে স্থাপিত নতুন এভিএম (এড ভ্যালু মেশিন) যন্ত্রে কার্ড স্পর্শ না করা পর্যন্ত রিচার্জ কার্যকর হবে না। যাত্রাপূর্বে অবশ্যই নির্দিষ্ট এভিএম যন্ত্রে কার্ড স্পর্শ করে তথ্য হালনাগাদ করতে হবে। এরপর স্বাভাবিক নিয়মে গেটে টাচ করে যাতায়াত করা যাবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, অনলাইন রিচার্জের ক্ষেত্রে পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহারের জন্য যাত্রীদের অতিরিক্ত ফি দিতে হবে।
অনলাইনে রিচার্জ করা টাকা তিন মাস পর্যন্ত ‘অপেক্ষমাণ’ অবস্থায় থাকবে। এই সময়ের মধ্যে এভিএম যন্ত্রে কার্ড স্পর্শ না করলে টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ফেরত যাবে। তবে সে ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সার্ভিস চার্জ কেটে রাখা হবে। গ্রাহক চাইলে রিচার্জের সাত দিনের মধ্যে ফেরত নিতে পারবেন, সেক্ষেত্রেও একই পরিমাণ ফি প্রযোজ্য হবে।
অনলাইন রিচার্জ কার্যক্রম চালুর অংশ হিসেবে গত সোমবার থেকে ১৬টি স্টেশনে মোট ৩২টি এভিএম যন্ত্র স্থাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রতিটি স্টেশনে দুটি করে যন্ত্র বসানো হবে।
বর্তমানে মেট্রোরেলের ৫৫ শতাংশ যাত্রী এই কার্ড ব্যবহার করছেন ও তারা নিয়মিত ১০ শতাংশ ভাড়া ছাড় পেয়ে থাকেন। বাকি ৪৫ শতাংশ যাত্রী একক যাত্রার কার্ড ব্যবহার করেন। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে চার লাখ যাত্রী মেট্রোরেল ব্যবহার করছেন।
কর্তৃপক্ষের আশা, আগামী মাসে ট্রেনের মধ্যবর্তী সময় দুই মিনিট কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে ও এতে দৈনিক যাত্রীসংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।