ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা জেলার ১৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ভোটকেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। এসব কেন্দ্রে দ্রুত সংস্কারকাজ সম্পন্নের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রায় ৬৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। চলতি সপ্তাহে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক স্মারকে এ বরাদ্দের বিষয়টি জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের স্মারকে বলা হয়েছে, ২০২৫–২৬ অর্থবছরের পরিচালন বাজেটের ‘অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা’ খাত থেকে দেশের ১২ হাজার ৫৩১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরুরি সংস্কারের জন্য মোট ৪১ কোটি ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। খাতটিতে মোট বরাদ্দ আছে ৮০ কোটি টাকা। সংস্কারকাজে সরকারি আর্থিক বিধি–বিধান কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভ্যাট পরিশোধের প্রমাণপত্র সংরক্ষণ, অডিটের জন্য সব বিল–ভাউচার রাখা এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মানসম্মতভাবে কাজ শেষ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কাজের গুণগত মান বা সময়সীমায় ব্যর্থ হলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের দায়ী করা হবে বলে স্মারকে উল্লেখ আছে।
২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে অব্যয়িত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। সংস্কারকাজ তদারকি করবেন বিভাগীয় উপপরিচালক (প্রাথমিক শিক্ষা), জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি)।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নির্বাচনের আগে সব ভোটকেন্দ্রে জরুরি সংস্কার শেষ করতে মাঠপর্যায়ে ইতিমধ্যে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল আমীন বলেন, জেলার ১৮৫টি বিদ্যালয়কে ভোটকেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করতে আমরা উপজেলাগুলোকে দ্রুত মেরামতকাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি। বরাদ্দের প্রতিটি টাকা সরকারি নীতিমালা মেনে ব্যয় হচ্ছে কি না, তা আমরা কঠোরভাবে তদারকি করব। লক্ষ্য হলো—নির্বাচনের আগেই কেন্দ্রগুলো মানসম্মতভাবে প্রস্তুত করা এবং কোনো ধরনের দেরি বা অনিয়মের সুযোগ না রাখা।