গত ২১ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে যখন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়, তখন মুহূর্তের মধ্যেই লাখো মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় ছুটে আসে। অফিস-আদালত, শপিং মল, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সর্বত্র একই দৃশ্য। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৫। কেন্দ্রস্থল নরসিংদী থেকে ১৪ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং গভীরতা মাত্র ১০ কিলোমিটার। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ৫.৭ মাত্রা রেকর্ড করে এবং উৎপত্তিস্থল মাধবদী অঞ্চল বলে জানায়। ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূমিকম্প কেন্দ্রও একই মাত্রার কথা উল্লেখ করেছে। কম্পন স্থায়ী ছিল মাত্র ২৬ সেকেন্ড। কিন্তু এর প্রভাব লেগেছে পুরো দেশে। চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেট থেকে শুরু করে গোপালগঞ্জ, নড়াইল, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, সাতক্ষীরা, যশোর, জামালপুর, দিনাজপুর, কুমিল্লা, রাজশাহী, কুড়িগ্রাম, বাগেরহাট, মাদারীপুর, শেরপুর, ফেনী—প্রায় প্রতিটি অঞ্চলের মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। অনেকেই বহু বছর পর এত জোর কম্পন অনুভব করেছেন বলে জানান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্কের বিবরণ, ভিডিও ফুটেজ, দুলতে থাকা ঝাড়বাতি ও আলমারির দৃশ্য। ইতোমধ্যে ভবনধস, আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অন্তত দশজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে।
এই অভিজ্ঞতা দেখিয়ে দিল এক কঠিন সত্য- ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগে আমাদের প্রস্তুতি এখনো নড়বড়ে। ঘনবসতিপূর্ণ শহর, পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, দুর্বল জরুরি সেবা এবং সাধারণ মানুষের অজ্ঞতা- সব মিলিয়ে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পও বড় বিপর্যয়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রাখে। এই কম্পনের কেন্দ্র খুব অগভীর ছিল। তাই কম্পন বেশি তীব্র মনে হয়েছে। ভূকম্পনবিদ্যার দৃষ্টিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ; কারণ অগভীর কেন্দ্রবিশিষ্ট ভূমিকম্প সাধারণত আশপাশের এলাকায় শক্তিশালী দোল সৃষ্টি করে। ঢাকার মতো মাটির গভীরতা কম এবং পলিমাটির গঠন বেশি থাকা এলাকায় এই দোল আরও বাড়ে। ভূতাত্ত্বিকভাবে বলতে গেলে, নরম পলি ও বালুমাটি ভূমিকম্পের তরঙ্গকে প্রসারিত করে এবং তরঙ্গের গতিবিধি দীর্ঘায়িত করে। ফলে তুলনামূলকভাবে মাঝারি মাত্রার কম্পনও মানুষের কাছে বড় ভূমিকম্পের মতো অনুভূত হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রামের আতঙ্কের আরেকটি কারণ হলো জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং বহুতল ভবনের আধিক্য। বড় শহরে ভবন নির্মাণে কোড মানার বিষয়ে বহুদিন ধরেই প্রশ্ন রয়েছে। পুরানো ঢাকার শত শত ভবন ব্রিটিশ আমল বা স্বাধীনতার পরপর নির্মিত- যেখানে কোনো ভূমিকম্প প্রতিরোধ ক্ষমতা ছিল না, এখনো নেই। নতুন ভবনগুলোতেও নির্মাণ মানের ঘাটতি স্পষ্ট। অনুমোদনহীন নির্মাণ, ভুল ডিজাইন, নিম্নমানের উপকরণ এবং তদারকির অভাব- এসব কারণে অনেক ভবন মূলত ঝুঁকির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ফলে প্রতিটি কম্পন শুধু কম্পন নয়; সম্ভাব্য বিপর্যয়ের পূর্বাভাস।
২১ নভেম্বরের পর ভূমিকম্পকে অনেক বিশেষজ্ঞ ফোরশক হিসেবেও বিবেচনা করছেন। উল্লেখ্য যে, ২১ তারিখের পরদিন ২২ তারিখ সন্ধ্যার দিকেও ঢাকায় আবার তিনবার ভূকম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্প হলেই শোনা যায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন ৬-৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের অর্ধেকের বেশি ভবন সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অসংখ্য হতাহতের ঘটনার আশঙ্কা প্রবল। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা বলে প্রতিবারই আতংকের রেশ কাটতে কাটতেই তা হাওয়ায় মিশে যায়, সরকারি কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান হয় না। ভৌগোলিক বাস্তবতাও আমাদের ঝুঁকি বাড়ায়। বাংলাদেশ অবস্থিত ভারতীয় এবং ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সীমানার খুব কাছাকাছি। পূর্বাঞ্চলে রয়েছে কয়েকটি সক্রিয় ফল্ট লাইন, যার মধ্যে ডাউকি ফল্ট এবং সিলেট ফল্ট বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই ফল্ট লাইনগুলো সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকাকে দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় রেখেছে। ভূতত্ত্ববিদরা বহু বছর ধরে সতর্ক করে আসছেন- এই অঞ্চলে বড় মাত্রার ভূমিকম্প ঘটলে প্রাণহানি এবং অবকাঠামোগত ক্ষতির মাত্রা ভয়ংকর হতে পারে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ১৮৯৭ সালের বিধ্বংসী ভূমিকম্প, ১৯১৮ সালের শ্রীমঙ্গল ভূমিকম্প এবং ১৯৩৪ সালের নেপাল-বিহার ভূমিকম্প এই অঞ্চলে তীব্র কম্পন সৃষ্টি করেছিল। অতীতের মধ্য-উচ্চ মাত্রার কম্পনগুলো তাই ছোট ছোট সতর্ক সংকেত বলা যেতে পারে।
দুর্যোগ প্রস্তুতির ঘাটতিও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। স্কুল-কলেজ থেকে অফিস-আদালত কোথাও নিয়মিত মহড়া হয় না। অনেক প্রতিষ্ঠানে দুর্যোগ পরিকল্পনা থাকলেও সেটি বাস্তবে অনুশীলিত হয় না। ফলে কম্পন শুরু হওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। কে কোথায় যাবে, কী করবে- তার স্পষ্ট ধারণা থাকে না। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, সবাই দৌড়াদৌড়ি শুরু করে, শিশু-বয়স্করা পড়ে যায়, লিফটে উঠতে যায়, ব্যস্ত সিঁড়িতে ধাক্কাধাক্কি হয়। এই বিশৃঙ্খলাই আসলে বিপদকে আরও বাড়িয়ে তোলে। জাপানের উদাহরণ এ ক্ষেত্রে খুবই শিক্ষণীয়। সেখানে ছোট শিশু পর্যন্ত জানে কখন টেবিলের নিচে আশ্রয় নিতে হবে, কখন ভবন ছেড়ে বাইরে যেতে হবে, আর কখন স্থির হয়ে অপেক্ষা করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে, বাসাবাড়িতে, স্কুলে—প্রতিটি জায়গায় নিয়মিত মহড়া বাধ্যতামূলক। মানুষ শুধু নিজের নিরাপত্তাই নয়, আশপাশের লোকজনকে সাহায্য করতেও প্রশিক্ষিত। সেখানে সমাজজুড়ে এক ধরনের প্রস্তুতি সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। যাকে তারা বলে বোসাই- দুর্যোগ প্রতিরোধে সামাজিক অভ্যাস। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম দিন সারা জাপানে জাতীয় দুর্যোগ দিবস পালন করা হয়, যেখানে লাখো মানুষ একযোগে মহড়ায় অংশ নেয়। বাংলাদেশের বাস্তবতায় এটি এখনো খুবই দূরের বিষয়।
ঢাকায় প্রতিবার ভূমিকম্প অনুভূত হলে একই ছবি দেখা যায়। সরু রাস্তায় মানুষের ঢল, সিঁড়িতে হুড়োহুড়ি, কেউ জানে না নিকটতম খোলা মাঠ কোথায়। কোনো কোনো এলাকায় ভবনের গায়ে ফাটল দেখা দেয়। কিন্তু মানুষ জানে না সেটা বিপজ্জনক কি না। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে যাবে, দমকল বাহিনী বা অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করতে পারবে না, মোবাইল নেটওয়ার্কও ভেঙে পড়তে পারে। হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগ হয়তো আহতদের চাপ সামলাতে ব্যর্থ হবে। পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হবে। চট্টগ্রামের ঝুঁকি আরও জটিল- এখানে পাহাড়ধস, সুনামি, শিল্পাঞ্চলের রাসায়নিক দুর্ঘটনা- সব মিলিয়ে একটি মাঝারি মাত্রার কম্পনও বহুমুখী দুর্যোগে রূপ নিতে পারে। বন্দর এলাকায় জ্বালানি ট্যাংক ও রাসায়নিক গুদাম রয়েছে যেগুলো অত্যন্ত সংবেদনশীল। পাহাড়ের পাদদেশে অপরিকল্পিত বসতি ভূমিকম্পের সময় ভূমিধসের মুখে পড়তে পারে। নরসিংদী-গাজীপুর অঞ্চলে কেন্দ্র হওয়ায় ঢাকার কম্পন আরও প্রবলভাবে অনুভূত হয়েছে। এই অঞ্চল নদীবিধৌত এবং নরম পলিমাটির ওপর গঠিত, ফলে ভূমিকম্পের তরঙ্গ সহজেই ছড়ায় এবং দোল আরও তীব্র হয়। বিশ্বজুড়ে গবেষণায় দেখা গেছে, নরম মাটির অঞ্চলগুলোতে একই মাত্রার ভূমিকম্প কঠিন শিলাযুক্ত অঞ্চলের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি ক্ষতি করতে পারে। তাই নগর পরিকল্পনা, ভবন নির্মাণমান, রাস্তা-ঘাট ও সেতুর শক্তি—সবই এই ভূতাত্ত্বিক বাস্তবতাকে মাথায় রেখে করতে হবে।
বাংলাদেশের দুর্যোগ প্রস্তুতির মৌলিক দুর্বলতা বহুবার আলোচনায় এসেছে- নিয়মিত মহড়ার অভাব, বিল্ডিং কোড বাস্তবায়নে ব্যর্থতা, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা হালনাগাদ না হওয়া, কমিউনিটি পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক দল গঠনের অভাব এবং প্রযুক্তিনির্ভর পূর্ব-সতর্কীকরণ ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা। উন্নত দেশগুলো এখন ভূমিকম্পের কয়েক সেকেন্ড আগেই সতর্কবার্তা পাঠাতে সক্ষম। এই কয়েক সেকেন্ডই লিফট থামিয়ে দিতে পারে, গ্যাসলাইন বন্ধ করতে পারে, মানুষকে টেবিলের নিচে আশ্রয় নিতে সাহায্য করতে পারে। জাপান, মেক্সিকো ও ক্যালিফোর্নিয়ায় এ ধরনের প্রযুক্তি বহু প্রাণ বাঁচিয়েছে। আমাদের দেশে এখনো সে ব্যবস্থা পরীক্ষামূলক পর্যায়ে। গণমাধ্যম এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। নিয়মিত সচেতনতা কর্মসূচি, টিভি অনুষ্ঠান, তথ্যচিত্র, বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন- সবই মানুষের মনোভাব ও আচরণ পরিবর্তনে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করতে পারে। প্রযুক্তির সরল ব্যবহারে মানুষ আরও দ্রুত সচেতন হতে পারে। মোবাইল অ্যাপে তাৎক্ষণিক সতর্কতা, নিকটতম নিরাপদ স্থানের মানচিত্র, জরুরি যোগাযোগের তালিকা, প্রয়োজনীয় করণীয়-সব কিছু খুব সহজেই পৌঁছে দেওয়া যায়। দীর্ঘমেয়াদে স্কুল-কলেজে বাধ্যতামূলক দুর্যোগ শিক্ষা খুব জরুরি। শিশুদের ছোটবেলা থেকেই শেখানো হলে পরিবারের মধ্যেই একটি নিরাপত্তা সংস্কৃতি তৈরি হয়। পাঠ্যপুস্তকে ভূমিকম্প নিরাপত্তার অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা, মাসিক বা ত্রৈমাসিক মহড়া বাধ্যতামূলক করা, প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে জরুরি বহির্গমন পথ স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা-এসব সহজ পদক্ষেপ দীর্ঘমেয়াদে বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে। কমিউনিটি পর্যায়েও নিয়মিত মহড়া করা গেলে সাধারণ মানুষ ধীরে ধীরে দক্ষ হয়ে ওঠে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা, বাজার, স্কুল- প্রতিটি সামাজিক কেন্দ্রকে দুর্যোগ প্রস্তুতির কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। স্থানীয় যুব সংগঠন, মহিলা সমিতি, স্কাউট দল—এসব প্রতিষ্ঠানকে প্রশিক্ষিত করে প্রতিটি এলাকায় একটি প্রস্তুত দল গড়ে তোলা সম্ভব। ভবন নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে এবং বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা রেখে সেগুলো সংস্কার বা ভেঙে ফেলতে হবে। নতুন ভবনে জাতীয় ভবন কোড কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। স্থপতি, প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
২১ নভেম্বরের ভূমিকম্প আমাদের কঠোরভাবে মনে করিয়ে দিল- প্রস্তুতি না থাকলে আতঙ্কই একমাত্র প্রতিক্রিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু আতঙ্ক নিরসন করে না; বরং নতুন বিপদের জন্ম দেয়। পরিকল্পিত নগরায়ন, কঠোর নির্মাণমান, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তিনির্ভর সতর্কীকরণ ব্যবস্থা এবং শক্তিশালী কমিউনিটি গঠন-এই পাঁচটি স্তম্ভ একটি নিরাপদ ও দুর্যোগ-সহনশীল ভবিষ্যতের মূল ভিত্তি হতে পারে। সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, বেসরকারি সংস্থা এবং সাধারণ মানুষ একসাথে কাজ করতে পারলে দুর্যোগ-সহনশীল বাংলাদেশ আর কেবল ধারণা থাকবে না, বাস্তব হয়ে উঠবে। প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব আছে নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। একটি জরুরি ব্যাগ তৈরি করা, যেখানে থাকবে পানি, খাবার, ওষুধ, টর্চলাইট, ফোন চার্জার এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের কপি। পরিবারের সবাই মিলে একটি জরুরি পরিকল্পনা তৈরি করা- কোথায় মিলিত হবে, কীভাবে যোগাযোগ রাখবে।
ভূমিকম্প অবশ্যই আবার আসবে। এটা থামানো যাবে না। কিন্তু প্রস্তুতি থাকলে ক্ষতি কমবে, জীবন বাঁচবে, আর সমাজ স্থিতিশীল থাকবে। আতঙ্ক নয়, প্রস্তুতিই আমাদের পথ দেখাতে পারে। প্রকৃতির শক্তিকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, কিন্তু আমরা নিজেদের প্রস্তুত করতে পারি। এবং সে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে এখনই, আজই।
লেখক : অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়