মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায় ঘিরে সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো বিচারকদের ‘অবমাননাকর’ ছবি-ভিডিও দ্রুত সরিয়ে ফেলার আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এই বিষয়ে আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় সংশ্লিষ্টদের।
রোববার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
অন্য সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টে সংঘটিত ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ মামলায় শেখ হাসিনা-কামালকে মৃত্যুদণ্ড ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের সাজা দেয় ট্রাইব্যুনাল-১। গত ১৭ নভেম্বর এ রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল-১।
এ রায় ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের ছবি দিয়ে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য ছড়ানো হয় বলে ট্রাইব্যুনালের ভাষ্য।
এসব ছবি ও ভিডিও নজরে এলে ট্রাইব্যুনাল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেয়।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও তথ্য সচিবকে অবিলম্বে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয় এবং এ ব্যাপারে আগামী ৩ ডিসেম্বর প্রতিবেদনের তারিখ রাখা হয়।
এ বিষয়ে প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই ট্রাইবুনালের বিভিন্ন প্রসিডিংস এবং ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের ছবিকে বিকৃত করে নানা ধরনের ব্যাঙ্গাত্মক কথাবার্তা বিভিন্ন জায়গায় প্রচারিত হচ্ছিল।
“সেখানে আইন লঙ্ঘন করে যেগুলো সত্য বিষয় নয়, যেগুলো ফ্যাক্টস নয়, সেরকম ফ্যাক্টসকে টুইস্ট করে মিথ্যা তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই ট্রাইবুনালের সম্মান, যেটা জনমনে রয়েছে, সেটাকে বিকৃত করার জন্য, সেটাকে হানি করার জন্য নানা ধরনের অপপ্রচারমূলক পোস্ট দেওয়া হচ্ছিল। এটা ট্রাইব্যুনালের নজরে এসেছে এবং এর আগে আপনারা জানেন যে কয়েক দিন আগে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান একটা জিডিও করেছেন যে, তাকে তার ফোনে নানা ধরনের কথাবার্তা গালাগালি করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “এসব বিষয় সামনে নিয়ে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটা আদেশ দিয়েছে।”