দিনাজপুর সদর উপজেলায় বাস-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা গেছেন চারজন। শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় উপজেলার দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের খোসালপুর (গম ও ভুট্টা গবেষণা কেন্দ্র সংলগ্ন) এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন অন্তত ৪ জন। এ সময় দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তার দুইপাশে কয়েকশ গাড়ি আটকা পড়েছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার মাঝিরা গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে সাদিয়া বেগম (১৫), দিনাজপুর সদর উপজেলার খানপুর কুতইর এলাকার ইয়াকুব আলীর স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৫৫)। সম্পর্কে তারা দুইজনে নানী-নাতনী। এ ঘটনায় নিহত অপর দুইজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
একতা অটো রাইসমিলের কর্মচারী বাবুল হোসেন বলেন, শনিবার দুপুরে বীরগঞ্জ থেকে দিনাজপুরের দিকে যাচ্ছিল মিনিবাসটি। বিপরীত দিক থেকে ইজিবাইক আসছিলো কাহারোল কান্তনগরের দিকে। খোসালপুর এলাকায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীতগামী ইজিবাইকটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ইজিবাইক থেকে কয়েকজন যাত্রী ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায়। পরে বাসটি তাদেরকে চাপা দিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হয়। স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে বাসটিকে আটক করে। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্য হয়েছে। অপরজনকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
আরও পড়ুন
ইজিবাইকে থাকা মকবুল হোসেন (৭৯) জানান, পরিবারের সবাইকে নিয়ে কান্তনগর রাসমেলায় যাচ্ছিলেন। তাদের বাড়ি সদর উপজেলার খানপুর গ্রামে। গম গবেষণা কেন্দ্রের অফিস পার হওয়ার পরে সামনে থেকে একটি বাস এলোমেলোভাবে এসে অটোকে ধাক্কা দেয়।
দিনাজপুর হাইওয়ে থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার খবর জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আসি। ঘটনাস্থলে তিনজনের লাশ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরেকজনের মারা যাওয়ার কথা শুনেছি। স্থানীয়রা বাসটিকে আটক করেছেন। তবে গাড়ির চালক ও তার সহকারি পলাতক রয়েছেন। আমরা দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ করছি।
দিনাজপুর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা ওবাইদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে এসে আমরা ৩ জনের লাশ পেয়েছি। শুনেছি দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও একজন মারা গেছে।