ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিষটি নিশ্চিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
শনিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি আরও বলেন, একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নির্বাচন কমিশনের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে আগামী সপ্তাহে গণভোটের জন্য প্রয়োজনীয় আইন পাস হলে প্রস্তুতি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করবে কমিশন। এমন পরিস্থিতিতে আগের কোনো নির্বাচন কমিশনকে কাজ করতে হয়নি।
নাসির উদ্দিন বলেন, এবারের নির্বাচন কমিশন এমন সব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, যেগুলো আগের কমিশনগুলোর সামনে ছিল না। আইন মেনে কাজ করাই আমাদের একমাত্র পথ। অন্য কোনো বিকল্প নেই। জনগণের উচ্চ প্রত্যাশা প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, গত কয়েক দিনের অভিজ্ঞতায় বুঝতে পেরেছি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা কতটা বেশি। এটি আমাদের জন্য বিশাল চাপ। তারপরও লক্ষ্য একটাই-স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়া।
সিইসি ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেন বলেন, প্রায় ২১ লাখ মৃত ভোটারের নাম এখনো ভোটার তালিকায় রয়েছে। আগের তিনটি জাতীয় নির্বাচনে মৃত ভোটারদের হয়ে অন্যরা ভোট দিয়েছে। নীলফামারিতে মিয়ানমারের ২০-২৫ জন নাগরিক ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের পোস্টাল ভোট প্রক্রিয়া বেশ জটিল।
গণভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইন চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত ব্যালটের ধরন নিশ্চিত নয়। তবে প্রস্তাবিত চারটি পয়েন্টে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ ভিত্তিক ভোট হবে বলে জানান তিনি।
সবশেষে সিইসি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি এখন নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কমিশন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।