Image description

এবার বিসিএস (নিরীক্ষা ও হিসাব) ক্যাডারের ৪৩তম ব্যাচের দুই শিক্ষানবিশ সহকারী মহা-হিসাবরক্ষককে চাকরি থেকে অপসারণ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। গত মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাদের নিয়োগের অবসান ঘটানো হয়। তারা হলেন- ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট একাডেমীতে (ফিমা) সহকারী মহা-হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত সোহানুর রহমান সরকার ও কায়সার মাহমুদ। 

জানা গেছে, চাকরিচ্যুতরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিলেন। এরমধ্যে কায়সার মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ছিলেন। আর সোহানুর রহমান এসএম (সলিমুল্লাহ মুসলিম হল) হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালা, ১৯৮১–এর বিধি ৬(২)(এ) অনুযায়ী তাদের সরকারি চাকরি থেকে অবসান করা হয়েছে। ওই বিধি অনুসারে, শিক্ষানবিশির মেয়াদে কোনো কর্মকর্তাকে ‘সরকারি চাকরিতে বহাল থাকার অযোগ্য’ মনে হলে সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ ছাড়াই নিয়োগ বাতিল করা যায়। তবে কোন কারণ দেখিয়ে তাদেরকে অযোগ্য বিবেচনা করা হয়েছে, প্রজ্ঞাপনে সেটি উল্লেখ নেই।

এদিকে, বুধবার (১৯ নভেম্বর) জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণরত (৪৩তম বিসিএস) প্রশাসন ক্যাডারের তিন শিক্ষানবিশ সহকারী কমিশনারকে সরকারি চাকরি থেকে অপসারণ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

তারা তিনজন হলেন কাজী আরিফুর রহমান (ফরিদপুর), অনুপ কুমার বিশ্বাস (বগুড়া) ও নবমিতা সরকার (পিরোজপুর)। তারা নিজ নিজ জায়গায় সহকারী কমিশনার হিসেবে কর্মরত থাকার পাশাপাশি সাভারের লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। জানা গেছে, এরাও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিলেন।