Image description

বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেওয়া এনায়েত করিম (মাসুদ করিম চৌধুরী) সম্প্রতি ঢাকার বিমানবন্দর থেকে আনতে যান পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন একজন ডিআইজি-র দেহরক্ষী, যাকে এখন সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে ডিআইজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

গত ৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসা এনায়েত করিম দুইদিন একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অবস্থান করেন। হোটেল বুকিং ও ভাড়া পরিশোধের দায়িত্ব নেয় জাতীয় পার্টির রওশনপন্থি মহাসচিব কাজী মামুনুর রশিদ।

গ্রেফতার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে এনায়েত করিম এসব তথ্য দেন। ১৫ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে ঢাকা মহানগর হাকিম রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এনায়েত করিমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রমনা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে এবং তদন্ত করছে ডিবি। তার পাসপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

ডিবি অতিরিক্ত কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং এনায়েত করিমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

২০ বছরের বেশি সময় ধরে একাধিক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে প্রতারণা করে আসা এনায়েত করিম, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অর্থ সংগ্রহের অভিযোগে অভিযুক্ত। ২০১৮ সালের পর বিএনপি ও অন্য কিছু রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে তার সম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে।

পূর্বেও প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি।

শীর্ষনিউজ