
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিজয়ী নারীদের নিয়ে সম্প্রতি আপত্তিকর মন্তব্য করেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) গবেষণা সহকারী রাকিবুল মবিন। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে তাকে চাকরিচ্যুত করল বিআইজিডি।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিআইজিডির ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে রাকিবুল মবিনের চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি রাকিবুল মবিনের ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত একটি পোস্ট সম্পর্কে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) অবগত রয়েছে। পোস্টটি তার ব্যক্তিগত মতামতের বহিঃপ্রকাশ। তবে এটি কোনোভাবেই বিআইজিডির মূল্যবোধ, মান বা প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না। তার ব্যক্তিগত মতামত বিআইজিডির প্রাতিষ্ঠানিক মতামত হিসেবে গণ্য করাও উচিত নয়।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা যে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর লিঙ্গ, ধর্ম, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বা অন্য যে কোনো মতের ওপর ভিত্তি করে তাদের প্রতি করা যে কোনো অবমাননাকর, বৈষম্যমূলক বা অসম্মানজনক আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।’
রাকিবুল মবিনকে চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, যথাযথ পদক্ষেপ অনুসরণ করে আমাদের নৈতিক ও পেশাদারি অবস্থান সমুন্নত রেখে আমরা জড়িত ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কের অবসান টেনেছি। আমাদের প্রত্যেক সদস্য যেন প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধ ও আচরণবিধি মেনে চলেন বিআইজিডি সেটি নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর ঢাবির সিনেট ভবনে ডাকসু নির্বাচনের ফল প্রকাশের সময় শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের চারজন নারী প্রার্থী জয়ী হওয়ায় তারা একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে উল্লাস করেন। সেই ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন ‘হাউস স্লেভ’ (গৃহদাসী) রাকিবুল মবিন। এ ঘটনার পরদিন রাকিবুল মবিনের মন্তব্যে আপত্তি জানিয়ে বিআইজিডিকে চিঠি দেন ডাকসুর নবনির্বাচিত আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক শাখাওয়াত জাকারিয়া। তাতে রাকিবুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। চিঠি দেওয়ার দুদিনের মাথায় তাকে চাকরিচ্যুত করল প্রতিষ্ঠানটি।