Image description

রাজধানীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মী শিক্ষকের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার এক শিক্ষিকার (২৭) পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে।  

বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে পুলিশ জানিয়েছে, ওই শিক্ষিকা ভাটারা থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় কীটনাশক পান করেন এবং শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

অপরদিকে, গোপনাঙ্গ হারানো শিক্ষক ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে নিশ্চিত করে পুলিশ জানিয়েছে, ওই শিক্ষক মিরপুর ১২ নম্বরে একটি বাসায় থাকেন। তার স্ত্রী জার্মান প্রবাসী। তবে কিছুদিন আগে দেশে ফিরেছেন। তার বাবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তিনি সেখানেই থাকেন। 

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে সঙ্গী ওই শিক্ষকের বাসায় যান ওই তার সহকর্মী। সেখানে তারা রাতে একত্রে থাকেন। ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সঙ্গীর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন ওই শিক্ষিকা। পরদিন সকালে তিনি সঙ্গীকে রক্তাক্ত অবস্থায় বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান। 

তবে আহত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের স্বজনদের তথ্যের ভিত্তিতে ভাটারা থানার পুলিশ এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে ওই নারীকে আটক করে। এ সময় তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ‘৯৯৯’– এ ফোন করে তাকে রক্ষা করার দাবি করলে ভাটারা থানার আরেক দল পুলিশ সেখানে গিয়ে ওই নারীকে আটক করে ভাটারা থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাবি করেন, ভাটারা থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় ওই নারী তার লোকদের দিয়ে ওষুধ আনার নাম করে কীটনাশক এনে পান করে অচেতন হয়ে যান। এরপর তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।অন্যদিকে, জানতে চাইলে পল্লবী থানার এসআই মোহাম্মদ আলী বলেন, আহত শিক্ষককে হাসপাতালে ভর্তি করানোর আগেই ওই নারীর বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় মামলা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান তিনি। তবে ওই নারী ও তার স্বজনেরা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় সহকর্মী দুজন স্বামী-স্ত্রী। তিন-চার মাস আগে তাদের দুজনের মধ্যে বিয়ে হয়। কিন্তু ওই শিক্ষক আরেক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ নিয়ে তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন ওই নারী। তবে ওই নারী সত্যিই শিক্ষকের স্ত্রী ছিলেন কি না, তা কাগজপত্র দেখে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।