
বাংলাদেশি মেয়েকে বিয়ে করতে ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে আসেন এক যুবক। তবে বিয়ের অনুষ্ঠানস্থলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান বর-কনে। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় এক ব্যক্তি সংবাদকর্মীদের ‘ম্যানেজ’ করার চেষ্টাও করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের শিলপাটি গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে।
কনে নিশি আক্তার ওই গ্রামের জিয়াউর রহমানের মেয়ে। বর জাব্বির রহমানের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ভাটকি এলাকায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কনের বাড়িতে আত্মীয়স্বজনদের খাওয়ানো হচ্ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কনেপক্ষের অনেকে। তবে হঠাৎ সাংবাদিকদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে বর-কনে দ্রুত পালিয়ে যান। এরপর কনেপক্ষের লোকজন মিলাদের অনুষ্ঠান বলে দাবি করে এবং বিয়ের অনুষ্ঠানের শামিয়ানা খুলে ফেলে। পরে সংবাদ পেয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
ঘটনাস্থলে পুলিশের উপপরিদর্শক সিদ্দিক জানান, পুলিশকে বরের মা ও বোন তাদের ভারতীয় পাসপোর্ট ও ভিসা দেখিয়ে জানান, তারা কেবল ‘আকিকার অনুষ্ঠানে’ অংশ নিতে এসেছেন। বর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা আর বিয়ের ঘটনা তারা বলতে পারছে না।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরেই ভারতীয় যুবক জাব্বির রহমান সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং ওই মেয়েকে বিয়ের জন্য আসেন। তার সঙ্গে ছিলেন মা ও বোন। তাদের বৈধভাবে এসেছেন কি না—সে বিষয়ে এলাকাবাসীর কেউ নিশ্চিত নন।
বালিয়াডাঙ্গী প্রেসক্লাবের সভাপতি এনএম নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বর-কনে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তি পরিবারের পক্ষ থেকে নিউজ না করতে অনুরোধ করেন এবং টাকার প্রলোভন দেখান।
এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি শওকত আলী সরকার বলেন, খবর পেয়ে আমরা কনের বাড়িতে যাই। সে সময় বর-কনেকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকজন জানান, বিয়ের কোনো আয়োজন হয়নি, বরং আকিকার দাওয়াতে দুজন ভারতীয় নাগরিক এসেছেন। তাদের বৈধ কাগজপত্র দেখানো হলে যাচাই করে আমরা চলে আসি।