
মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, ''এটা কি পরিকল্পিত নৃশংসতা?''
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পুরান ঢাকার মিটফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও পাথর মেরে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিও প্রকাশের পর ঘটনা আলোচনায় আসে এবং প্রশ্ন ওঠে, দুই দিন ধরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কী করছিল।
পুলিশ ও র্যাব এখন পর্যন্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে, যারা আগেই সোহাগের ব্যবসায় যুক্ত ছিল বলে জানা গেছে।
হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ হিসেবে পুরনো তারের ব্যবসার সিন্ডিকেট দখলের দ্বন্দ্বকে দায়ী করা হচ্ছে।
ভিডিওতে যাদের দেখা গেছে, তাদের মধ্যে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা রয়েছেন এবং তাদের আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন ও গণসংহতি আন্দোলনও এই ঘটনার ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেছে, এমন পাশবিকতা সমাজে অনুচিত ও অমানবিক উদাহরণ তৈরি করছে।
মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে শত শত মানুষের সামনে এভাবে একজনকে হত্যা ও লাশের ওপর উল্লাস করা গোটা জাতিকে হতবাক করেছে।
দেশজুড়ে বিভিন্ন শহরে শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেছে। সরকার ও প্রশাসনের প্রতি দ্রুত বিচার ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

সমকালের প্রধান শিরোনাম, 'রামদা হাতে আলোচনায় এসে দুর্বৃত্তের গুলিতে খুন'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, খুলনার দৌলতপুরে যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান মোল্লাকে তার বাড়ির সামনে গুলি করে এবং পায়ের রগ কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আগে কুয়েট ক্যাম্পাসে রামদা হাতে সংঘর্ষে জড়ানোয় আলোচনায় আসেন এবং পরে দল থেকে বহিষ্কৃত হন।
ঘটনার দিন দুপুরে প্রাইভেটকার পরিষ্কার করার সময় মোটরসাইকেলে আসা তিন দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে নয়টি গুলি ছোড়ে এবং পরে ধারালো অস্ত্রে পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। বিএনপির নেতাকর্মীরা খুলনা-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। নিহত মাহবুবের পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা ও বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানায়, মাহবুবের বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে এবং এলাকাটি চরমপন্থি ও সন্ত্রাসীদের জন্য পরিচিত।
স্থানীয়রা বলছেন, মাহবুব একসময় দলের জন্য নিবেদিত থাকলেও পরবর্তী সময়ে এলাকায় আধিপত্য, মাদক ব্যবসা ও জমি সিন্ডিকেটে জড়িয়ে পড়েন।
বিএনপির নেতারা বলছেন, আগের হত্যাগুলোর বিচার হলে মাহবুবকে হয়তো খুন হতে হতো না।
তারা দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও পুলিশ প্রশাসনে পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে। পুলিশ এখন সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, '৭০% মামলার তদন্তে 'অগ্রগতি', প্রতিবেদন দিতে চার চ্যালেঞ্জ'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সারা দেশে এক হাজার ৬০১টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে ৬৩৭টি হত্যা মামলা।
পুলিশ বলছে, প্রায় ৭০ শতাংশ মামলায় সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে, তবে প্রতিবেদন দিতে চারটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
সেগুলো হলো: ময়নাতদন্তের অভাব, চিকিৎসা প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ অস্পষ্ট, এজাহারে ভুল এবং অনেক ঢালাও আসামি।
অনেক মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে হাসপাতাল, পুলিশ বা পরিবারও তথ্য ঠিকভাবে সংরক্ষণ করেনি।
এসব কারণে তদন্ত বিলম্বিত হচ্ছে। পুলিশের একটি বিশেষ মনিটরিং দল এসব মামলা পর্যবেক্ষণ করছে এবং কিছু মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
তবে ময়নাতদন্ত না হওয়ায় বা প্রতিবেদন না আসায় আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে দেরি হচ্ছে। কিছু শহীদের পরিবার মামলা করতেও অনিচ্ছুক, আবার অনেকে এখনো শনাক্ত হয়নি।
একই সঙ্গে শেখ হাসিনা ও অনেক সাবেক এমপি-মন্ত্রীর নামে শত শত মামলা থাকায় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ সংগ্রহ করাও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তদন্তে অনিয়ম ও হয়রানিমূলক মামলা ঠেকাতে প্রশাসনিক নির্দেশনাও জারি হয়েছে। শহীদ পরিবারের সদস্যরা বিচার না পাওয়ার হতাশা প্রকাশ করেছেন।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই ঘটনাগুলোতে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার সুপারিশ করেছে। তবে বাস্তবতার কারণে অনেক মামলার সমাধান এখনো অনিশ্চিত।

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, 'Political risks threaten to hurt reforms' অর্থাৎ, 'রাজনৈতিক ঝুঁকিগুলো সংস্কারের জন্য হুমকি করছে'।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিশ্বব্যাংকের নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বৈশ্বিক বাণিজ্য সংকটের সম্মুখীন, যা দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার পরিকল্পনাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
"বাংলাদেশ: গভর্নেন্স অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল রেজিলিয়েন্স" শীর্ষক এই প্রতিবেদনটি এমন সময় প্রকাশিত হয়েছে, যখন সংস্থাটি শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশকে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন দিয়েছে এবং আরও ৫০০ মিলিয়ন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বিশ্বব্যাংক সতর্ক করেছে, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উত্তেজনা সংস্কারের অগ্রগতি থামিয়ে দিতে পারে। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যা চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে পরোক্ষ ক্ষতি।
বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, রপ্তানি ৫ শতাংশ কমলে জিডিপি এক দশমিক তিন শতাংশ কমে যাবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার কমবে। ২০২৫ অর্থবছরে জিডিপি তিন দশমিক ৯৭ শতাংশে নেমে এসেছে, যা এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম।
দুর্বল ব্যাংক ব্যবস্থা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি (গড়ে ১০ দশমিক তিন শতাংশ) এবং টাকার মান কমে যাওয়াও অর্থনীতিকে চাপে ফেলেছে।
যদিও জুনে মূল্যস্ফীতি ৮.৪৮ শতাংশে নেমে এসেছে, ভবিষ্যতের জন্য স্থিতিশীল রাজনীতি ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপরই নির্ভর করবে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো।
সংস্কারের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোর স্বচ্ছতা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং কর ব্যবস্থার পেশাদারীকরণে নতুন নিয়ম চালু করেছে।
সব ব্যাংককে প্রকৃত মালিক চিনতে, ঋণ পরিচালনায় কঠোর হতে ও অকার্যকর ব্যাংক শনাক্ত করতে বলা হয়েছে। ২০২৭ সালের মধ্যে এসব নিয়ম পুরোপুরি বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, যদিও কিছু অগ্রগতি হয়েছে, তথাপি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, গোষ্ঠীস্বার্থ ও দুর্বল আর্থিক খাত এখনো বড় চ্যালেঞ্জ।

যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম,''না ভোট'সহ বড় সংস্কার'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় ধরনের সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে।
এর আওতায় প্রস্তাব করা হয়েছে 'না ভোট' চালু করা, যাতে কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলেও ভোট হবে এবং প্রার্থীর চেয়ে 'না ভোট' বেশি পড়লে সেই আসনে আবার ভোট হবে।
এতে করে ভোটারদের মতামত আরও গুরুত্ব পাবে এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার পথ বন্ধ হবে।
খসড়া আইনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতার মানদণ্ডেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রার্থী হতে হলে কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে এবং একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ দুটি আসনে নির্বাচন করতে পারবেন। আন্তর্জাতিক অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্তরা প্রার্থী হতে পারবেন না।
ইসি চাইছে প্রবাসীদেরও ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এবং প্রার্থীদের হলফনামায় বিদেশি সম্পদের তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আনতে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের চাহিদার ক্ষেত্রে সরকার ও ইসির মধ্যে দ্বন্দ্ব হলে ইসির দাবি প্রাধান্য পাবে।
সরকারি কর্মকর্তারা দায়িত্বে অবহেলা করলে ইসি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে এবং সেটি তাদের চাকরি রেকর্ডে উল্লেখ থাকবে।
প্রার্থী ব্যয়ের হিসাব অডিট, রাজনৈতিক দলের আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা এবং ইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ, ভোটে অনিয়ম হলে পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে। সব কিছু চূড়ান্ত হবে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে।

কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, 'ভর্তিযুদ্ধ এবার আরো তীব্র'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থী পাস করেছে এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে প্রায় এক দশমিক চার লাখ শিক্ষার্থী।
ফল প্রকাশের পর আনন্দ থাকলেও এখন অনেকেই চিন্তায় পড়েছে—পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়া যাবে কি না।
যদিও দেশের কলেজগুলোতে আসন আছে প্রায় ২৮ লাখ, যা পাস করা শিক্ষার্থীর দ্বিগুণেরও বেশি, তবুও মূল সমস্যা মানসম্পন্ন বা পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে।
দেশে ভালো কলেজের সংখ্যা মাত্র ৩০০ এর মতো, যেখানে মোট আসন দুই লাখের মতো। বিপরীতে জিপিএ ফোর থেকে ফাইভের মধ্যে পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ছয় লাখ।
ফলে এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে পছন্দের কলেজগুলোতে জায়গা পাওয়ার জন্য প্রবল প্রতিযোগিতা শুরু হবে।
বিশেষ করে ঢাকার শীর্ষ কলেজগুলোতে যেমন ঢাকা কলেজ, নটর ডেম, ভিকারুননিসা, হলি ক্রস, আদমজী, মতিঝিল আইডিয়াল ইত্যাদি কলেজে ভর্তি হতে তীব্র লড়াই হবে।
সবচেয়ে বেশি চাপ পড়বে ঢাকার কলেজগুলোর ওপর, কারণ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকেও শিক্ষার্থীরা ঢাকায় ভর্তি হতে চায়।
যদিও অনলাইন ভিত্তিক মেধাতালিকার মাধ্যমে ভর্তি হবে, তবুও পছন্দের কলেজ না পেলে অনেকেই হতাশ হতে পারে। চারটি চার্চ পরিচালিত কলেজে আলাদা ভর্তি পরীক্ষা নিতে পারে। সব মিলে এবারের ভর্তি প্রতিযোগিতা হবে আগের চেয়ে অনেক বেশি তীব্র।

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, 'প্রাথমিক থেকেই তৈরি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের গণিত ও ইংরেজির দুর্বলতা'।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় অদক্ষ শিক্ষকের কারণে শিশুদের গণিত ও ইংরেজিতে দুর্বলতা তৈরি হচ্ছে, যা পরে এসএসসি পর্যায়ে গিয়ে বড় ফলাফল বিপর্যয়ে রূপ নিচ্ছে।
চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় ৩১ দশমিক ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছে, যার বড় অংশই গণিত ও ইংরেজিতে খারাপ করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দুই বিষয়ে ভিত্তি তৈরি হয় প্রাথমিক স্তরে, কিন্তু সেখানে শিক্ষকরা প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ ছাড়াই পাঠদান করছেন।
ওয়েভ ফাউন্ডেশনের এক জরিপে দেখা যায়, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বেশিরভাগ শিশু সাধারণ গাণিতিক সমস্যাও বুঝতে পারে না।
একইভাবে ইংরেজি বইয়ের অক্ষর পড়তে না পারা এবং গল্প পড়ার ক্ষেত্রে দুর্বলতাও স্পষ্ট।
সরকারের প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষকদের বড় একটি অংশ এখনো প্রশিক্ষণের বাইরে, আর যারা প্রশিক্ষিত তারাও ক্লাসে সেটা ঠিকভাবে প্রয়োগ করছেন না।
শিক্ষকদের অনেকেই শিক্ষকতা পেশাকে অগ্রাধিকার দেন না, যার ফলে আন্তরিকতার ঘাটতি থাকে। প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোতেও প্রশিক্ষক সংকট রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষকের মান বাড়াতে প্রি-সার্ভিস প্রশিক্ষণ, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা ও নিরবচ্ছিন্ন শ্রেণী কার্যক্রম নিশ্চিত করা দরকার। তা না হলে শিক্ষার্থীদের শিখন দুর্বলতা কাটানো সম্ভব নয়।

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, 'ত্রিপুরা থেকে ধেয়ে আসছে পাহাড়ি ঢল ফেনীতে তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ফেনী জেলায় ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধ ভেঙে একাধিক এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।
পরশুরাম ও ফুলগাজীতে পানি কিছুটা কমলেও ছাগলনাইয়া উপজেলায় পানি আরও বাড়ছে, যেখানে বহু গ্রাম পানিতে ডুবে গেছে।
হাজারো মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক গ্রামে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, পরীক্ষা স্থগিত এবং যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে।
বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ ঠাঁই নিয়েছেন এবং প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন খাবার সরবরাহ করছে।
নোয়াখালী জেলায় বৃষ্টি বন্ধ হওয়ায় পানি নামতে শুরু করেছে এবং পরিস্থিতির উন্নতি দেখা যাচ্ছে। তবে এখনও ব্যাপকসংখ্যক মানুষ পানিবন্দী।
সেখানে ৪৬৬টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত ছিল, ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ফেনী সদর ও ছাগলনাইয়ায় বন্যা পরিস্থিতি এখনও খারাপ, রাস্তা-ঘাট, ঘরবাড়ি ও খামারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, রেড ক্রিসেন্ট ও স্বেচ্ছাসেবী দল একযোগে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে কাজ করছে।
সেনাবাহিনী বোট, লাইফ জ্যাকেট ও চিকিৎসাসেবা সরবরাহ করছে, এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবার বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, 'ভিসা পাওয়া কঠিন হচ্ছে'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশিদের জন্য বিদেশে ভিসা পাওয়া দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। ভিসার আবেদন অনেক বেশি নাকচ হচ্ছে, এমনকি যেসব দেশে আগে সহজে পর্যটন ভিসা পাওয়া যেত, সেখানেও এখন সময় লাগছে।
এর প্রধান কারণ হলো অনেক আবেদনকারী জাল কাগজ, ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন। আবার অনেকে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দেশে ফেরত না গিয়ে বিদেশে অবৈধভাবে থাকেন, ফলে অন্যদের ওপর এর প্রভাব পড়ে।
সাক্ষাৎকারে ইংরেজিতে কথা বলতে না পারা বা নিজের তথ্য জানাতে না পারার কারণেও ভিসা বাতিল হচ্ছে।
ভিসা এজেন্টদের সহায়তায় আবেদনে ভুলভ্রান্তি বেশি হচ্ছে, যাঁরা আবেদনকারীর অজান্তেই জাল বা ভুল তথ্য দিচ্ছেন।
নারীদের ক্ষেত্রে ফ্যামিলি ভিসার জন্য আবেদন করেও স্বামীর নাম বলতে না পারা বা সন্দেহজনক সম্পর্ক দেখিয়ে আবেদন করার ঘটনা ঘটছে, যা মানব পাচারের ইঙ্গিত দেয়।
আরব আমিরাত, জার্মানি, ভারতসহ অনেক দেশ ভিসার নিয়ম কঠোর করছে। কিছু ক্ষেত্রে সরকারিভাবেও উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের ভিসা নাকচ হয়েছে।
জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার মতো ঘটনায় আরও সতর্কতা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিসা আবেদন যেন নিজে সঠিকভাবে করা হয় এবং জনসচেতনতা বাড়াতে সরকারের জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।