Image description

সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ফ্লাইট অপারেশন ম্যানেজমেন্ট। বিমানে ক্যাডেট পাইলট নিয়োগ থেকে শুরু করে পদোন্নতি, প্রশিক্ষণ, ওভারটাইম, আর্থিক ছুটিসহ সবকিছুই চলছে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। বিমানকে কুক্ষিগত করে রেখেছে চক্রটি। ফলে কাংখিত মানের এয়ারলাইনস হিসেবে গড়ে ওঠেনি বিমান। বিভিন্ন সময় নিয়ম ভেঙে ক্যাডেট পাইলট নিয়োগ দেওয়ায় গতি হারাচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। সৃষ্টি হচ্ছে পাইলট সংকট। এ কারণে বাড়ানো যাচ্ছে না বিমানের সংখ্যা ও রুট। তাই ৫৩ বছরেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সরকারি প্রতিষ্ঠানটি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিমানের বহরে রয়েছে ২১টি উড়োজাহাজ। এ নিয়েই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে সংস্থাটি। অথচ এটির রয়েছে বিশাল বাজার। এই দুর্বলতার সুযোগে বাজার দখল করে নিচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো।

সূত্র জানায়, স্বৈরাচারের দোসররা এখনো বিমানে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। যে কারণে এখানে খুব একটা পরিবর্তন আসছে না। যারা এক সময় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানার আস্থাভাজন হিসেবে ভিআইপি ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন ছিলেন এখন তারাই চালাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার ফ্লাইট। অনেক সময় অনিয়মের কারণে যোগ্যরা জায়গা করে নিতে পারছেন না।

সূত্র জানায়, বিমানে ক্যাডেট পাইলট রিক্রুটমেন্ট নিয়মিত না হওয়ায় সব সময় পাইলট সংকট থেকেই যাচ্ছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর তড়িঘড়ি করে পরীক্ষা নেওয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, যতদিন পর্যন্ত পাইলটদের ছেলেমেয়েরা আবেদন করার যোগ্যতা অর্জন না করে ততদিন পর্যন্ত কোনো নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয় না, যার ফলে কখনো ৫ আবার কখনো ৬ বছর পর ক্যাডেট পাইলট নিয়োগ পরীক্ষা হয়ে থাকে।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৯ এপ্রিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ক্যাডেট পাইলট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাডেট পাইলটের যোগ্যতা হিসেবে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বিজ্ঞানে এইচএসসি অথবা জেনারেল এডুকেশন ডেভলপমেন্ট (জিইডি) হলেও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। কিন্তু পরে জিইডি করা কোনো ক্যাডেটকে পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়নি। কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স (সিপিপিএল) করা ১৫০ ঘণ্টা ফ্লাই করা ক্যাডেটদের প্রাধান্য দিতে গিয়ে বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশন থেকে জিইডি ক্যাডেটদের বাদ দেওয়া হয়েছে। তাদের অন্য এয়ারলাইনসে তিন থেকে চার হাজার ঘণ্টা ফ্লাইয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে। অথচ এর আগেও বিমানের জিইডি করা পাইলট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যারা বর্তমানে বিমানে ক্যাপ্টেন হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুরুতেই বৈষম্যের অভিযোগ এনে কয়েকজন প্রার্থী আদালতের শরণাপন্ন হন। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রবেশপত্র না পাওয়া আটজন আবেদনকারী পরিচালক প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তার কাছে কোনো সদুত্তর না পেয়ে তারা বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে বিষয়টি জানতে চেয়ে আবেদন ও ইমেইল করেন। কিন্তু বিমান কর্তৃপক্ষ তাদের কোনো উত্তর দেয়নি। পরে এই আট ক্যাডেট পাইলট পরীক্ষার্থী হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন। আদালত এই আটটি পোস্ট খালি রেখে বাকিদের পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেয়। কিন্তু পরে বিমান হাইকোর্টে আপিল করে। ১৮ ডিসেম্বর আদেশ বাতিল করে এবং ৪৮টি পোস্টেই নিয়োগ দেয় বিমান।

বঞ্চিত পরীক্ষার্থীরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবার আবেদন করে । চলতি বছরের ১৮ মার্চ শুনানি শেষে ২৪ এপ্রিল রায় হয়। এতে বলা হয়, হাইকোর্টের আগের রায়ই বলবৎ থাকবে অর্থাৎ, বঞ্চিত আটজনকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে এবং ৬০ দিনের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় আদালত।

নিয়োগ বিজ্ঞাপনে এইচএসসি পাসসহ অন্যান্য শর্তের কথা উল্লেখ থাকলেও কতজন পাইলট নেওয়া হবে তার উল্লেখ ছিল না। পদের জায়গায় লেখা ছিল অনির্ধারিত। অথচ বিমানের অন্যান্য সময়ে পাইলট নিয়োগে পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়। এখানে কেন উল্লেখ করা হলো না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, গত বছরের ২৩ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষা হয়। ওই দিনই সন্ধ্যায় তড়িঘড়ি করে রেজাল্ট দিয়ে দেওয়া হয়। ভাইভা হয় ৪ ও ৫ ডিসেম্বর। রেজাল্ট হয় ১০ ডিসেম্বর। নিয়োগপত্র পায় ৯ জানুয়ারি ২০২৫। এরপর তারা বিমানে যোগদান করেন। বর্তমানে বিমানের যে নতুন ৪৮ জন ক্যাডেট পাইলট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, এদের মধ্যে আটজন ফ্লাই করছে। বাকি ৪০ জন বসে বসে বেতন নিচ্ছেন। আগে ক্যাডেট পাইলটদের বেতন ছিল ১৫ হাজার টাকা। এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩০ হাজার।

এদিকে ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বিমানের ২৮৫তম বোর্ড মিটিংয়ে বিদ্যমান ককপিট ক্রু সংকট নিরসনে প্রতি ৬ মাস পরপর ১২ জন করে চার কিস্তিতে দু’বছরে ৪৮ জন ক্যাডেট পাইলট নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন করা হয়। তখন বিমানের হেড অব প্ল্যানিং ও শিডিউল প্রধান ছিলেন ক্যাপ্টেন শাহাদাত হোসেন। তৎকালীন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ছিলেন শফিউল আজিম।

পরে মার্চে হেড অব প্ল্যানিং ও শিডিউল প্রধান পরিবর্তন হলে এই পদে ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক যোগ দেন। তিনি এপ্রিলে এসে তৎকালীন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীকে বুঝিয়ে নিয়োগের সার্কুলারে আরো বেশিসংখ্যক ক্যাডেট পাইলটের চাহিদা দেওয়ার বিষয়ে সম্মত করান। এতে বিমান উপকৃত জানিয়ে বলে ক্যাডেট পাইলট নিয়োগ স্থগিত রেখে গারুদা ও অন্যান্য বিদেশি এয়ারলাইনস থেকে বেশি বেতনে পাইলট নিয়োগ দেওয়া হয়। এই বিদেশি পাইলটরা আবার বিনা নোটিসে হঠাৎ করে বিমান ছেড়ে নিজস্ব এয়ারলাইনসে ফিরে যায়। তখন বিপাকে পড়ে বিমান।

সূত্র জানায়, বিমানের যত পাইলট নিয়োগ হয়েছে, দুই-একটি বাদ দিয়ে সবই একই কায়দায় হয়েছে। এভাবেই বিমান গত ১৫ বছর ধরে পাইলট নিয়োগ করে আসছে। তাদের স্বজনদের নিয়োগ নিশ্চিত করেই বাকিদের নেওয়া হতো কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে। এমনকি ক্যাপ্টেন কামাল মাহমুদের ছেলে লিখিত পরীক্ষায় পাস করার পর তৎকালীন বিমান প্রতিমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে নগদ এক কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে পাইলট হওয়ার সুযোগ পান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিমানের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘মূলত বিমানের হেড অব প্ল্যানিং ও শিডিউল প্রধান ইশতিয়াক হোসেনের ছেলেকে নিয়োগ দিতে কর্তৃপক্ষ ওই ৪০ জনের নিয়োগে সে সময় তড়িঘড়ি করে।’

সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাডেট পাইলট পদের লিখিত পরীক্ষা গত ২৩ নভেম্বর ২০২৪ শনিবার নেওয়ার পর সন্ধ্যায় ফল প্রকাশ করা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় ৫০ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। বিমানের চিফ অব সিডিউলিং ইশতিয়াক হোসেনের ব্যাচমেট পরিচালক ফ্লাইট অপারেশন তাসমিন দোজা পরীক্ষার প্রশ্ন করেন । সকালে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ও সন্ধ্যায় ফলাফল দেয়। এটি নিয়ে বিমানে প্রশ্ন ওঠে। বলা হয় পরীক্ষার প্রশ্ন আগেই কোনো কোনো পরীক্ষার্থী পেয়ে গিয়েছিলেন। এভাবে বিগত পাঁচ দশক ধরে বিমানের পাইলট নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে পরিবারতন্ত্র কায়েম হয়েছে। জানা গেছে, বিমানে বর্তমানে পাইলট ১৭০ জন। তাদের মধ্যে ৬০ জনই একে অপরের আত্মীয়। তাও আবার পাতানো আত্মীয় নয়, একেবারে রক্তের সম্পর্ক।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিমানের পাইলট নিয়োগ, পদোন্নতি, বেতন-ভাতাদি নিয়ে চলছে তুঘলকি কাণ্ড। পাইলটরা একটা ম্যানুয়েল তৈরি করে নিয়েছেন, যাতে তাদের আত্মীয়-স্বজনকে নিরাপদে, নির্বিঘ্নে পাইলট বানিয়ে নিয়োগের সুযোগ থাকে।

বিমানের মানবসম্পদ শাখা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ক্যাডেট পাইলট পরীক্ষায় অনিয়মের প্রশ্ন ওঠে। তারপর দুদক তদন্ত করে সত্যতা পায় এবং তদন্ত শেষে চার্জশিট দেয়। মামলাটি ঢাকার একটি আদালতে এখনো বিচারাধীন।

পাইলট স্বামীর সুবাদে ন্যূনতম যোগ্যতা না থাকলেও স্ত্রী পাইলট হয়ে যেতে পারেন বিমানে। এটির জ্বলন্ত উদাহরণÑ ফার্স্ট অফিসার সাদিয়া। শুধু বিমান কেন, বিশেষ যে কোনো এয়ারলাইনসেই পাইলট হতে গেলে বিজ্ঞানে উচ্চমাধ্যমিক (ম্যাথমেটিক্স ও ফিজিক্সসহ) পাস হতে হয়। কিন্তু সাদিয়া এসবের কোনো তোয়াক্কাই করেননি। তিনি মানবিক শাখায় উচ্চমাধ্যমিক পাসের সনদ দিয়ে ঢুকে যান বোয়িং ৭৭৭-এর ফার্স্ট অফিসার হিসেবে। ২০২১ সালের ওই ঘটনা সিভিল অ্যাভিয়েশনের তদন্তে ফাঁস হওয়ার পর দেশে-বিদেশে তোলপাড় শুরু হয়। পরে বিমান থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়। ওই কেলেঙ্কারির তদন্তে দেখা যায়, সাদিয়ার স্বামী ক্যাপ্টেন সাজিদ তখন বিমানের গুরুত্বপূর্ণ (পাইলট প্রশিক্ষণ) শাখার দায়িত্বে ছিলেন।

তারপর রুট ট্রেনিংয়ে সাদিয়া বারবার খারাপ করেন, তখন সাজিদ নিজেই তার ফ্লাইটে রুট ট্রেনিংয়ে গিয়ে ইনস্ট্রাক্টরের দায়িত্ব নিয়ে তাকে পাস করানোর গুরুদায়িত্ব পালন করেন। ফলে স্ত্রীকে বের করে দেওয়া হয় আর স্বামীকে গ্রাউন্ডেড করা হয়।

জানা গেছে, শেষ নিয়োগেও বিমানের ক্যাপ্টেনদের পরিবারের ও আত্মীয়দের ছয়জন ক্যাডেট পাইলট হিসেবে যোগদান করেন। তারা হলেন ক্যাপ্টেন ইশতিয়াকের ছেলে সাদিফ হোসেন, ক্যাপ্টেন কাদেরের স্ত্রী বুশরা সিদ্দিকা, ক্যাপ্টেন বেলালের ছেলে মোহাম্মদ শায়েখ, ক্যাপ্টেন হাসনাইনের মেয়ে শারমীন চৌধুরী, ক্যাপ্টেন শাহেদ ইকবালের মেয়ে তাসফিয়া ইকবাল।

এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে বিমানের সাবেক পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম আমার দেশকে বলেন, একটি উড়োজাহাজের সেফটি সিকিউরিটির ৮০ ভাগ নির্ভর করে ককপিট ক্রু অর্থাৎ পাইলটদের ওপর। এ জন্য বিশ্বব্যাপী পাইলট নিয়োগ করা হয় কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে। কিন্তু বিমানে যেটা হচ্ছে, সেটা তো ওপেন সিক্রেট। বিমানের ক্যাডেট পাইলট নিয়োগের এসব অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে নিয়োগ বোর্ডকে কঠোরভাবে সমস্ত আইন-কানুন অনুসরণ করতে হবে। নিয়োগের ব্যাপারে কোনো শৈথল্য দেখানো যাবে না। কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

পাইলট সংকট নিয়ে কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, দেশে পরিকল্পিতভাবে ফ্লাইং ক্লাব গড়ে তুলতে হবে। না হলে পাইলট সংকট কাটবে না। বিদেশ থেকে পাইলট আনলে অনেক খরচ, পোষাবে না। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস নিজেরাই পাইলট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। তারা ক্যাডেট পাইলট রিক্রুট করে বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। তাদের লাইসেন্সের ব্যবস্থা করছে। ফলে ভবিষ্যতে তাদের পাইলট সংকট কম হবে। বিমানকেও নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করতে হবে, অন্য কেউ করে দেবে না।

বিমানে পাইলটদের পরিবারতন্ত্র গড়ে ওঠার বিষয়ে মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ এবিএম রওশন কবীর বলেন, ‘বিমানের নিয়োগ প্রথানুযায়ী লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয়। পরীক্ষার সময় পরীক্ষক কিংবা সংশ্লিষ্টরা তো বুঝতে পারেন না কোন প্রার্থী কোন ক্যাপ্টেনের ছেল-মেয়ে। পরীক্ষার খাতায় তো বাবা-মায়ের নাম লেখা থাকে না, যেটা দেখে চিহ্নিত করা যাবে। এখন কোনো পাইলটের আত্মীয়-স্বজন যদি মেধার জোরে পাস করে চাকরি পেয়ে যায়, সেটাতে কেউ বাধা দিতে পারে না। তাছাড়া সব নিয়ম মেনেই ক্যাডেট পাইলট নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। এখানে কোনো ধরনের অনিয়ম হয় না।’