Image description

 

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় পুলিশের গাড়ি ব্যবহার করে ডাকাতির ঘটনায় ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহান। শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে তিনি উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের কাতলাহার গ্রামে এ ঘটনার শিকার ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন এবং নিরপেক্ষ তদন্তের কথা জানান। এ সময় বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার মো. জেদান আল মুসা পিপিএম, সোনাতলা শিবগঞ্জ সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিলাদুন নবী উপস্থিত ছিলেন। 
 
এদিকে পুলিশের গাড়ি ব্যবহার করে এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়ে। এমতাবস্থায় রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করেন। এসময় তিনি ভুক্তভোগী পরিবারের বক্তব্য গ্রহণ করেন। 
 
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আমরা চেয়েছি আমাদের একটা পরিবেশ হোক যেখানে মানুষ নিরাপদে থাকবে। পুলিশের গাড়ি ব্যবহার করে আর যেন এ ঘটনা ঘটাতে না পারে।  সেইজন্য গাড়ির মুভমেন্টগুলো আমরা মনিটর করতে পারি। পুলিশ সদস্য যদি খারাপ হয় তাহলে দেখা যাবে যে সে যে কোনো অপরাধে জড়িয়ে যেতে পারে।’ 
 
তিনি আরো বলেন, জড়িত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। বিভাগীয় মামলা করে তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত শাস্তির জন্য আমাদের যা যা করণীয় তার সবই আমরা করবো। আইনী ব্যবস্থায় তার চূড়ান্ত শাস্তি হলো চাকরিচ্যুতি করা এবং আমরা তাকে চাকরিচ্যুতি করবো। 
 
উল্লেখ, এপিবিএন সদস্য আল হাদীর গ্রামের বাড়ি বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার চারালকান্দি গ্রামে।

 
আজকালের খবর