সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (র্যাব) গুম-খুন-নির্যাতনের ঘর হিসেবে পরিচিত ‘আয়নাঘর’ ছিল বলে জানিয়েছেন বাহিনীর মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি একেএম শহিদুর রহমান। এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘র্যাবে আয়নাঘর ছিল। এটা ওভাবেই রাখা হয়েছে। কারণ এটা নিয়ে কাজ করছে গুম-খুন কমিশন।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সমসাময়িক বিষয় ও অভিযান নিয়ে এক ব্রিফিংয় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি।
এসময় র্যাবের হাতে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন বাহিনীর মহাপরিচালক।
হাসিনা সরকারের পতনের পর র্যাবের ডিজি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া একেএম শহিদুর রহমান জানান, গুম-খুন-অপহরণসহ বেশ কিছু অভিযোগ আছে র্যাবের বিরুদ্ধে। সুষ্ঠু বিচার ও তদন্তের মাধ্যমে র্যাব এসব থেকে দায় মুক্ত হতে চায়। মহাপরিচালক বলেন, র্যাবের কোনো সদস্য ফৌজদারি অপরাধ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গত ৫ আগস্টের পর থেকে শেখ হাসিনার আমলের জঙ্গি ঘটনাকে নাটক বলা হচ্ছে- এমন প্রশ্নে ডিজি বলেন, জঙ্গি ছিল। তাদের বিরুদ্ধে র্যাব আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে।
র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করার অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে জানিয়ে র্যাব ডিজি বলেন, 'তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণ হবে। এটা নিয়ে আদালতের নির্দেশনা আছে।'
ডিজি বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময় আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে কাজ করছে র্যাব। আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করার ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেককে আটক করা হয়।
এখন পর্যন্ত সাবেক মন্ত্রীসহ মোট ৩৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান র্যাব ডিজি।