Image description

বিমান হামলায় ৪৬ নিরীহ নাগরিকের মৃত্যুর বদলা নিতে পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে হামলা চালাল তালেবান যোদ্ধারা। হামলার সময়ে পাকিস্তানি সেনার ২টি চৌকি দখল নেয়ার পাশাপাশি ১৯ সেনা সদস্যকে হত্যাও করেছে। যদিও কোন সীমান্তে ওই হামলা চালানো হয়েছে, তা নিয়ে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের তরফে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। তবে পড়শি দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব যেভাবে রণংদেহী মেজাজে রয়েছে, তাতে যে কোনও সময়ে যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে।

 

গত মঙ্গলবারই আফগানিস্তানে থাকা জঙ্গি সংগঠন তেহরিকে তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে হামলা চালায় পাকিস্তানের বিমান বাহিনী। আকাশসীমা লঙ্ঘন করে আফগান ভূখণ্ডে ঢুকে চালানো ওই হামলায় প্রাণ হারায় ৪৬ জন। পাকিস্তানের ওই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয় আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। বিমান হামলার যোগ্য জবাব দেয়া হবে বলে পাল্টা হুমকি দেয়। পাকিস্তানকে সবক শেখাতে গত দু’দিন ধরে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ ও আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশের মধ্যবর্তী সীমান্তে জড়ো হয় ১৫ হাজার তালেবান যোদ্ধা। গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের সেনা ও  তালেবান যোদ্ধাদের মধ্যে লড়াই শুরু হয়। দুই বাহিনীর মধ্যে রাতভর ধরে চলে সংঘর্ষ।

 

পাকিস্তানে হামলা চালানোর কথা স্বীকার করে তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এনায়েতুল্লাহ খোয়ারাজমি কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ‘আল জাজিরা’কে বলেন, ‘ডুরান্ড লাইনকে আমরা পাকিস্তানের ভূখণ্ড বলে মনে করি না। পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। ওই হামলা চলবে।’

 

ওয়াজিরস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সীমান্তে ১৫ হাজার তালেবান যোদ্ধার জড়ো হওয়ার খবর পাওয়ার পরে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ‘আমরা আফগানিস্তানের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক চাই। কিন্তু আমাদের নিরপরাধ মানুষদের হত্যা করা থেকে টিটিপিকে নিরস্ত করতে হবে।’