বাংলাদেশ আস্তে আস্তে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, আগামী ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হবে সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার মতো। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে দেশ স্বাধীন হয়েছে, তার সুফল আমরা পাচ্ছি। অর্থনৈতিক অর্জনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা জজ আদালতে ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেছেন, মামলার জট ছাড়িয়ে জনগণ যাতে সহজে ন্যায় বিচার পায় সেজন্য বিচারক ও আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। যে বিচারপ্রার্থী আদালতের বারান্দায় বিচারের প্রত্যাশায় আসে তারা কেউ নয়, তারা এই দেশের মালিক। তাদেরকে বিচারিক সেবা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এটা যেভাবেই হোক বাস্তবায়ন করতে হবে।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, বছরের পর বছর যদি আদালতের বারান্দায় কেউ ঘুরতে থাকে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় এবং বিচার না পায়, হয়তোবা সে বলেও ফেলতে পারে যে দেশে বিচার-আচার নাই। আমরা এটা হতে দিতে পারি না। এ জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি।
তিনি জানান, ২০২২ সালে সারাদেশের মধ্যে ময়মনসিংহে সর্বোচ্চ সংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এ বছর অগ্রগতি আরো বেশি। এজন্য ময়মনসিংহ জেলা দেশের প্রথম ‘প্রধান বিচারপতি পদক’ লাভ করেছে। তিনি ময়মনসিংহের বিচারক, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এরপর তিনি আদালত প্রাঙ্গণে জাজে’স গার্ডেনে বৃক্ষরোপণ ও বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করেন। এ সময় রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার এস কে এম তোফায়েল হাসান, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, স্পেশাল জজ মো. শাহাদত হোসেন, সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সুদীপ্তা সরকার, শাবরীনা আলী ও জয়নাব বেগম, জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, সাধারণ অ্যাডভোকেট আবুল কালামসহ আইনজীবীগণ উপস্থিত ছিলেন।