
ক্ষমতাচ্যূত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এবারের একুশ পদক প্রদান অনুষ্ঠান ছিল ভিন্নমাত্রার। পদক তুলে দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এবার সংস্কৃতি ও শিক্ষায় একুশে পদক পেয়েছেন স্বনামধন্য আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম।
নীল পাঞ্জাবি ও গলায় মাফলার জড়ানো শহিদুল আলম উপদেষ্টার কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। তিনি জুলাই আন্দোলন ও পতিত সরকারের সময় প্রতিবাদী এক কণ্ঠ ছিলেন। একুশে পদক গ্রহণকালে তার পরনের নীল পাঞ্জাবির পেছনে লেখা ছিল ‘এই বিপ্লবও কারও বাপের না’। পাঞ্জাবির পেছনের লেখাটি বেশ নজর কেড়েছে নেটিজেনদের।

গতকাল বৃহস্পতিবার পুরস্কার নেয়ার অনুষ্ঠানে অনেকে পেছন দিক থেকে শহিদুল আলমের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। অনেকে প্রশংসা করে নিজ নিজ ওয়ালে শেয়ার করেছেন ছবিটি।
যে বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, সেই বিপ্লবের একচ্ছত্র আধিপত্য যে কারও নয় সেটাই পাঞ্জাবির পেছনে লেখা দিয়ে বুঝিয়েছেন শহিদুল আলম। দেশবরেণ্য আলোকচিত্রী, সমাজকর্মী শহিদুল আলম সাইকেল চালিয়ে নিতে আসেন পুরস্কার।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা ফেসবুকে অন্যজনের পোস্ট শেয়ার দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন ‘Our inspiration! Congratulations Shahidul Alam’।
খন্দকার তানভীর মুরাদ এই ছবিটিসহ কয়েকটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ক্যাপশানে লিখেছেন ‘এই একজন মানুষ, যার আছে বিশাল হৃদয়, বুক ভরা সাহস আর কাজের প্রতি আত্ম-নিবেদন।’
এ বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ১৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।
শহীদুল আলম দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনাবলী ক্যামেরা বন্দী করেছেন তিনি। তার আলোকচিত্র বিশ্বের অনেক নামকরা সংবাদপত্র এবং ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্মের ফটোগ্রাফারদের প্রশিক্ষিত করার পেছনে অবদান রয়েছে এই আলোকচিত্রীর।