Image description
 

সুদানের ক্ষমতাসীন ট্রানজিশনাল সার্বভৌম পরিষদের (টিএসসি) এক শীর্ষ কর্মকর্তা দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা বা যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন। খবর আল জাজিরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সংস্কৃতি, তথ্য ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে টিএসসির উপপ্রধান মালিক আগার আইয়ির বলেন, দখলদার শক্তির সঙ্গে কোনো সমঝোতা বা আলোচনা হতে পারে না। সুদানের জনগণ ও সরকারের রূপরেখা অনুযায়ীই ন্যায্য শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে।

পূর্বাঞ্চলীয় শহর পোর্ট সুদানে মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, এই যুদ্ধ ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার’ জন্য নয়; বরং এটি সম্পদ দখল ও দেশের জনসংখ্যার কাঠামো পরিবর্তনের চেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি জাতীয় ঐক্য জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেন।

 

এদিকে সুদানের প্রধানমন্ত্রী কামিল ইদ্রিস জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রায় তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধে একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। ওই পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, আরএসএফকে পশ্চিম ও মধ্য সুদানের দখলকৃত এলাকা ছাড়তে হবে, অস্ত্র জমা দিয়ে ক্যাম্পে যেতে হবে এবং যুদ্ধাপরাধে জড়িত নন—এমন সদস্যদের সমাজে পুনর্বাসন করা হবে।

 
 

তবে আরএসএফ এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। বাহিনীর প্রধান উপদেষ্টা আল-বাশা তিবিক একে ‘রাজনীতির চেয়ে কল্পনার কাছাকাছি’ বলে মন্তব্য করেন।

 

এদিকে চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলোর অভিযোগ, বিশেষ করে দারফুর অঞ্চলে আরএসএফের বিরুদ্ধে গণহত্যা, পরিকল্পিত যৌন সহিংসতা এবং প্রমাণ লোপাটের জন্য লাশ পোড়ানোর মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে।

অক্টোবরে উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশের দখলের পর মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে। বৃহস্পতিবার আরএসএফ দাবি করেছে, তারা উত্তর দারফুরের আবু কুমরা অঞ্চল এবং উম বুরু এলাকাও নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। পাশাপাশি উত্তর কর্দোফানের গুরুত্বপূর্ণ শহর এল-ওবেইদের দিকে অগ্রসর হওয়ার কথাও জানিয়েছে বাহিনীটি।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আরএসএফ বলছে, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়াই তাদের প্রধান লক্ষ্য।