মায়ামির ভোটাররা মঙ্গলবার আইলিন হিগিন্সকে শহরের নতুন মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। প্রায় ৩০ বছর পর শহরটির শীর্ষ পদে কোনো ডেমোক্র্যাট জয়ী হলেন তিনি।
৬১ বছর বয়সী হিগিন্স শুধু তিন দশকের মধ্যে প্রথম ডেমোক্র্যাট নারীই নন, বরং মায়ামির ইতিহাসে প্রথম নারী মেয়র।
সিএনএন ও মায়ামি হেরাল্ড–এর তথ্য অনুযায়ী, রানঅফ নির্বাচনে হিগিন্স প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী এমিলিও টি. গনজালেসকে পরাজিত করেন। গনজালেসকে সমর্থন করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে দ্বিগুণ ব্যবধানে জয় পেলেও ভোটার উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে কম। নিবন্ধিত ভোটারের মাত্র প্রায় ২০ শতাংশ ভোট দেন।
লাতিনো জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত মায়ামিতে দীর্ঘদিন ধরে কিউবান বংশোদ্ভূত রিপাবলিকান রাজনীতিকরাই প্রাধান্য ধরে রেখেছিলেন। ট্রাম্পও ২০১৬, ২০২০ ও ২০২৪ সালে ফ্লোরিডায় ইলেক্টোরাল ভোট জিতেছিলেন। তার প্রিয় রিসোর্ট মার-এ-লাগো মায়ামি থেকে মাত্র ৬৭ মাইল দূরে অবস্থিত।
মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর এক বিবৃতিতে হিগিন্স বলেন, আমরা একসঙ্গে বিশৃঙ্খলা ও দুর্নীতির বছরগুলোর অবসান ঘটিয়ে মায়ামির জন্য নতুন এক যুগের দরজা খুলেছি—যেখানে নৈতিক ও জবাবদিহিমূলক নেতৃত্ব জনগণের জন্য বাস্তব ফলাফল নিশ্চিত করবে।
এ বছর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ডেমোক্র্যাটদের একের পর এক নির্বাচনী সাফল্যের ধারায় হিগিন্সের জয়কে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ভার্জিনিয়া, নিউ জার্সির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য নির্বাচন এবং নিউ ইয়র্কের মেয়র নির্বাচনেও ডেমোক্র্যাটরা জয় পেয়েছে—যা অনেক বিশ্লেষকের মতে, বছরের শুরুতে ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফেরার বিরুদ্ধে ভোটারদের একটি স্পষ্ট বার্তা।
শীর্ষনিউজ