Image description
 

বাল্টিক সাগরে রাশিয়ার সাবমেরিন উপস্থিতি এখন প্রায় সাপ্তাহিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে সুইডিশ নৌবাহিনী। নৌবাহিনীর অপারেশনের প্রধান ক্যাপ্টেন মার্কো পেতকোভিচ বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি বা অস্ত্রবিরতির পর রাশিয়া এ অঞ্চলে তার সামরিক সক্ষমতা আরও জোরদার করতে পারে।

তিনি জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রুশ সাবমেরিনের গতিবিধি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে এবং এখন এটি নৌবাহিনীর জন্য “খুবই সাধারণ” পরিস্থিতি। রাশিয়া সেন্ট পিটার্সবার্গ ও কালিনিনগ্রাদে প্রতিবছর একটি করে কিলো-শ্রেণির নতুন সাবমেরিন তৈরি করছে এবং যুদ্ধজাহাজগুলোকে আধুনিকায়নের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিচ্ছে।

বাল্টিক সাগরজুড়ে নানা ধরনের হুমকি দেখা দিচ্ছে—যেমন ড্রোনের মাধ্যমে সন্দেহভাজন হাইব্রিড হামলা, পানির নিচের অবকাঠামোতে নাশকতার আশঙ্কা এবং রাশিয়ার পুরোনো তেলবাহী জাহাজ নিয়ে গঠিত “শ্যাডো ফ্লিট”। পেতকোভিচ আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে এসব বেসামরিক জাহাজও ড্রোন আক্রমণ পরিচালনায় ব্যবহৃত হতে পারে।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, রুশ গুপ্তচর জাহাজ ব্রিটিশ জলসীমায় প্রবেশ করে সামরিক পাইলটদের দিকে লেজার নিক্ষেপ করেছে, যা পশ্চিমা দেশগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

এই পরিস্থিতিতে সুইডেন বিশাল নেটো মহড়া “প্লেবুক মার্লিন ২৫” আয়োজন করেছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্সসহ নয়টি দেশ অংশ নেয়। বাল্টিক সাগরের পানির নিচের জটিল ভৌগোলিক গঠন সাবমেরিন শনাক্তকরণকে আরও কঠিন করে তুলছে।

তবে নেটোর বাড়তি নজরদারি কার্যকর হয়েছে বলে জানান পেতকোভিচ। জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া “অপারেশন বাল্টিক সেনট্রি”–র পর অঞ্চলটিতে পানির নিচের কেবল বা অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তার মতে, এটি নেটোর ঐক্য ও সমন্বয়ের প্রমাণ।

তিনি বলেন, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, লিথুয়ানিয়া এবং এস্তোনিয়ার মতো দেশগুলো সমুদ্রপথের ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল হওয়ায় তাদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। ইউক্রেন যুদ্ধ শেষে রাশিয়া বাল্টিক অঞ্চলে তার সামরিক উপস্থিতি আরও জোরদার করবে বলেই সুইডিশ নৌবাহিনীর ধারণা।

সূত্র- গার্ডিয়ান।