ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন—এমন অভিযোগের প্রত্যাখান করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আলোচনায় গ্রহণযোগ্য অনেক কিছু আছে, তবে পুরোপুরি নয়। খবর বিবিসি’র
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা এই বৈঠক শেষ হয় মধ্যরাতের পর। তার আগে অনেকক্ষণ অপেক্ষায় থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনার। তবে দীর্ঘ বৈঠকের পর শান্তি প্রস্তাব নিয়ে ওঠে বিতর্ক।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) পেসকভ জানিয়েছেন, আলোচনায় পুতিন মার্কিন প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন—এমন অভিযোগ ‘সঠিক নয়’। কিছু বিষয় গ্রহণযোগ্য বলে চিহ্নিত হয়েছে, আবার কিছু বিষয় অগ্রহণযোগ্য। এটি পুরোপুরি স্বাভাবিক একটি কার্যপ্রক্রিয়া এবং সমঝোতার খোঁজ।
তবে পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ক্রেমলিন। পেসকভ বলেন, আলোচনাকে যত শান্ত ও নীরব পরিবেশে রাখা যায়, ততই তা ফলপ্রসূ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমরা এই নীতিতে অটল থাকব এবং মার্কিন পক্ষ থেকেও একই আচরণ আশা করি।
গত সপ্তাহে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফাঁস হয়, যুক্তরাষ্ট্র নাকি রাশিয়ার প্রস্তাবিত সর্বোচ্চ দাবির তালিকাকে নিজেদের শান্তি পরিকল্পনা হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র গোপনে ব্যবসায়িক আলোচনাতে নাকি দুই পক্ষ যুক্ত ছিল এবং স্টিভ উইটকফ রাশিয়াকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ কৌশল নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। সেসব নিয়ে কিছু এখনও বলেনি যুক্তরাষ্ট্র।
মস্কোতে দীর্ঘ আলোচনা শেষে উইটকফ বলেন, এখনো কোনো সমাধান হয়নি, তবে কিছু মার্কিন প্রস্তাব নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ওয়াশিংটন ও মস্কো–উভয় পক্ষেরই সামনে এখনও অনেক কাজ বাকি।
অবশ্য মঙ্গলবার বৈঠকের আগে মস্কোর এক বিনিয়োগ ফোরামে পুতিন বলেন, ইউরোপের দেশগুলো ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর যে কোনো শান্তি প্রচেষ্টা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রকেও বাধা দিচ্ছে। এসময় তিনি হুঁশিয়ারি শুনিয়ে বলেন, ইউরোপ যদি যুদ্ধ চায় তবে তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে রাশিয়া প্রস্তুত।